নয়াদিল্লি: সিএএ-র নিন্দা করে শাসক শিবিরের কটাক্ষ, রোষের মুখে সত্য নাদেল্লা। তিনি বলেছিলেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ভারতের পক্ষে খারাপ। এজন্য কর্পোরেট দুনিয়ার প্রথম সারির ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে বিজেপি নেত্রী-সাংসদ মীনাক্ষি লেখি ট্যুইট করেছেন, কেন যে সাক্ষর লোকজনকেও শিক্ষিত করা দরকার হয়, তার চমত্কার নমুনা এটা! বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের সুযোগ-সুবিধা দিতে সিএএ আনার পিছনে নির্দিষ্ট যুক্তি আছে। মাইক্রোসফট সিইও-কে উদ্দেশ্য করে লেখি বলেছেন, এইসব সুযোগ-সুবিধা আমেরিকার ইয়েজিদিদের পরিবর্তে সিরিয়ান মুসলিমদের দিলে কেমন হয়?


লেখির এহেন কটাক্ষের কারণ বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইন সম্পর্কে নাদেল্লার অবস্থান। তাঁকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, যা হচ্ছে, সেটা খারাপ, একেবারে খারাপ মনে করি। আমি দেখতে চাই, কোনও এক বাংলাদেশি অভিবাসনকারী ভারতে আসার পর ভারতে পরবর্তী ইউনিকর্ন তৈরি করেছেন বা ইনফোসিসের পরের সিইও হয়েছেন।
মীনাক্ষির ঝাঁঝালো বিদ্রূপের পর মাইক্রোসফটের তরফ থেকে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় নাদেল্লার একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়, যাতে তিনি বলেছেন, প্রতিটি দেশই তার নিজের সীমান্ত ঠিক করবে, করা উচিতও, জাতীয় সুরক্ষা, নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে, সেইমতো তার অভিবাসন নীতি স্থির করবে। আর গণতন্ত্রে তা নিয়ে জনগণ ও তাদের সরকার বিতর্ক করবে, তার পরিধির মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবে। নাদেল্লা আরও বলেন, আমার ভারতীয় ঐতিহ্য, বহু সংস্কৃতির দেশ ভারতে বেড়ে ওঠা, আমেরিকায় অভিবাসী হিসাবে অর্জিত অভিজ্ঞতা, এসব মিলিয়ে তৈরি হয়েছি আমি। আমি এমন এক ভারত দেখার আশা করি যেখানে একজন অভিবাসী সমৃদ্ধশালী স্টার্ট আপ তৈরির বা কোনও বহুজাতিক কর্পোরেশনের নেতৃত্ব দেওয়ার স্বপ্ন দেখেন যাতে ভারতীয় সমাজ ও সামগ্রিক ভাবে অর্থনীতি লাভবান হবে।
যদিও তাতে বিজেপির ক্ষোভ কমেনি বলেই মনে করা হচ্ছে।