কার্তিক মাসে তুলসী ও শালগ্রাম শিলার বিবাহ দেওয়া হয়। কার্তিক মাসে তুলসী পুজো করলে যাবতীয় মনস্কামনা পূর্ণ হয়। বাড়িতে থাকা তুলসী চারায় নিয়মিত জল দিলে আর পুজো করলে মন শান্ত থাকে। মানুষ বিশ্বাস করেন, প্রতিদিন ভোরে তুলসী দর্শন করলে শরীর সুস্থ হয়।
শাস্ত্র বলছে, তুলসী পুজো ও তার ডাল ভাঙার জন্য কিছু নিয়ম পালন আবশ্যক।
- তুলসী চারা বাড়ির উঠোনে লাগাতে হবে। তবে আজকাল য়েহেতু জায়গার অভাব, তাই তুলসী চারা ব্যালকনিতেও লাগাতে পারে।
- রোজ সকালে স্নান করে তুলসী গাছে জল দিন ও চারপাশ পরিক্রমা করুন।
- রবিবার তুলসী মূলে প্রদীপ জ্বালাবেন না।
- গণেশ ঠাকুর, মা দুর্গা ও শিব ঠাকুরকে তুলসী দিন।
- যখন খুশি তুলসী চারা লাগান, তবে কার্তিক মাস এ জন্য সব থেকে উপযোগী।
- তুলসী গাছ লাগাতে হবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জায়গায়।
- কাঁটাগাছের সঙ্গে তুলসী চারা লাগাবেন না।
তুলসীর ডাল ভাঙার, পাতা তোলার কিছু নিয়ম আছে। সকালবেলায় পাতা তুলতে হয়। যখনই সেই পাতা ব্যবহার করুন, সকালেই তুলে রাখুন কারণ তুলসী পাতা কখনও বাসী হয় না।
অকারণে তুলসী পাতা ছিঁড়বেন না, তাতে তার অপমান হয়।
পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে তুলসীর পাতা তুলুন।
অপরিচ্ছন্ন হাতে তুলসী পাতায় হাত দেবেন না।
রবিবার, চন্দ্রগ্রহণ ও একাদশীর দিন তুলসী পাতা তুলবেন না।
তুলসী পাতা তোলার সময় আগে তাকে প্রণাম করুন, তারপর এই মন্ত্র উচ্চারণ করুন- মহাপ্রসাদ জননী, সর্ব সৌভাগ্যবর্ধিনী, আধি ব্যাধি হরা নিত্যং, তুলসী ত্বং নমোস্তুতে।