সুনীত হালদার, হাওড়া : এই বছরের অগাস্ট অথবা সেপ্টেম্বর মাসে দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকদের একাংশ। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তৃতীয় ঢেউয়ে বেশি আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা। সেকথা মাথায় রেখেই হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য নতুন করে ২০টি পিকু বেড তৈরি করা হয়েছে।


দেশে এখনও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। সংক্রমণ কমলেও, এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এরই মধ্যে আগামী অগাস্ট অথবা সেপ্টেম্বর মাসে তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন একাংশ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ। এই ঢেউয়ে শিশুদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে শিশুদের কোভিড চিকিৎসার জন্য একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 


এই মুহূর্তে হাওড়া জেলা হাসপাতাল ও উলুবেড়িয়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এস এন সি ইউ ইউনিটে অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত রয়েছে। কোভিড সংক্রমণের আশঙ্কায় ওই এস এন সি ইউ-র মধ্যে পাঁচটি করে মোট দশটি বেড নিয়ে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা পিকু তৈরি করা হয়েছে ওই দুই হাসপাতালে।


এর পাশাপাশি হাওড়া জেলা হাসপাতালে এস এন সি ইউ-র পাশে বেসরকারি সহযোগিতায় আরও দশটি বেডের পিকু ইউনিট তৈরি করা হয়েছে। এইসব  ইউনিটে ভেন্টিলেটর, মনিটর, বাইপাপ সহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ বসানোর কাজ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে। এর পাশাপাশি পিকুর দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক এবং নার্সদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। গ্রামের দিকে শিশুদের সংক্রমণ রুখতে স্বাস্থ্যকর্মীদের একইভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল।


সরকারের এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে অভিভাবকদের একাংশ বলেন, করোনার ভয়ে সকলে ভীত। শিশুরা যদি আক্রান্ত হয় তাতে ভয়ের ব্যাপার আছে। এই পরিস্থিতিতে জেলাতেই শিশুদের চিকিৎসার উদ্যোগ ভাল বিষয়।