মুম্বই : সোশ্যাল মিডিয়ায় 'হ্যাশট্যাগ মি টু' কাণ্ডের রেশ নিয়ে মাঝে-মাঝেই ছাপ ফেলেছে মানুষের বাস্তব জীবনে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে তারকারা, 'মি টু' কাঁটায় বিদ্ধ হয়েছেন অনেকেই। বলিউডের অন্যতম সফল পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপও বাদ যাননি এই বিতর্ক থেকে। তাঁর বিরুদ্ধেও উঠেছিল হেনস্থা করার অভিযোগ। এরপর বেশ কিছুদিন পেরিয়ে গিয়েছে। বাবার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আসায় কী অবস্থা হয়েছিল মেয়ে আলিয়া সহ গোটা পরিবারের? নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ভয়াবহ সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুললেন আলিয়া কশ্যপ।


নিজের ইউটিউব চ্যানেলে হামেশাই বিভিন্ন নতুন ভিডিও পোস্ট করেন অনুরাগ কন্যা আলিয়া। সেখানেই একটি ভিডিওতে তিনি বর্ণনা করেন, 'হ্যাশট্যাগ মি টু' ঠিক কতটা আঘাত করেছিল কশ্যপ পরিবারকে। আলিয়ার কথায়, এই 'হ্যাশট্যাগ মি টু' কীভাবে তাঁদের জীবনটা দুঃসহ করে তুলেছিল। আলিয়া কাশ্যপ বলেছেন, 'সবকিছুকে আমি পরোয়া করি না বললেই সেটা সত্যি হয়ে যায় না। কিছু কিছু জিনিসকে বাধ্য হয়ে গুরুত্ব দিতে হয়। 'হ্যাশট্যাগ মি টু' এই অভিযোগকেও আমাদের গুরুত্ব দিতে হয়েছে। কারণ, এরকম একটা মারাত্মক অভিযোগ ওঠার পর আমার বাবার চরিত্রটাই বদলে দিচ্ছিল কেউ কেউ। কিন্তু, বিষয়টা আদৌ তেমন নয় বলেই মনের উপর চাপ পড়ছিল আমাদের। আমার বাবা কেমন মানুষ আর তাঁর সম্পর্কে কী কী প্রচার করা হচ্ছে, সেটা কষ্ট দিচ্ছিল। সবাই মনে করেছিলেন, আমার বাবা একজন খুব খারাপ মানুষ। অথচ, বাবাকে যাঁরা কাছ থেকে চেনেন, তাঁরা প্রত্যেকেই স্বীকার করবেন, এমন নরম মনের মানুষ আজকের যুগে মেলা ভার।'


আলিয়া কাশ্যপ আরও বলেছেন, 'তাই ওই সময় খুব কষ্ট হত। ভাবতাম, যারা আমার বাবাকে খারাপ কথা বলছে, কিংবা তাঁর সম্পর্কে ঘৃণ্য মন্তব্য করছে, তারা আসলে আমার বাবাকে চেনেই না। খেয়াল করে দেখেছি, বাবাও এই বিষয়ে আমার সঙ্গে কোনও কথা বলতেন না। আমাদের মধ্যে এই বিষয়ে কোনওদিনই কোনও কথা হয়নি। আসলে বাবা চাইতেন না, এইসব বিষয় নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি।'


প্রসঙ্গত, গত বছর একজন অভিনেত্রী পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের বিরুদ্ধে 'হ্যাশট্যাগ মি টু'-এর অভিযোগ আনেন। ওই অভিনেত্রীর অভিযোগ ছিল, তাঁকে হেনস্থা করছেন অনুরাগ কশ্যপ। যে অভিযোগ যায় জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন শ্রীমতি রেখা শর্মার কাছেও। পরে অবশ্য অনুরাগ কাশ্যপ বিবৃতি দিয়ে জানান, তাঁর সম্পর্কে ওঠা 'হ্যাশট্যাগ মি টু' অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন।