সেকেন্দ্রাবাদ : ফের ট্রেনে আতঙ্ক। এবার আগুন লেগে গেল হাওড়া থেকে সেকেন্দ্রাবাদগামী ফলকনুমা এক্সপ্রেসে। শুক্রবার সকালে পাগিদিপল্লি এবং বোমাইপল্লি স্টেশনের মধ্যে ট্রেনটিতে আগুন লেগে যায়।
কোন কোন বগিতে আগুন
এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুসার, এক্সপ্রেসের তিনটি বগিতে আগুন লেগে যায়। সঙ্গে সঙ্গে থামানো হয় ট্রেনটি। যে সমস্ত যাত্রী ট্রেনে ছিলেন, তাঁদের নামিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়। এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। হাওড়া থেকে দক্ষিণ ভারতগামী বহু যাত্রীর ভরসা এই ট্রেন।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কী জানাচ্ছে
তেলঙ্গনার ফলকনুমা এক্সপ্রেসটিতে আগুন লেগে যায় বোমাইপালি এবং পাগিদিপল্লি স্টেশবের মাঝামাঝি জায়গায়। পরপর তিনটি বগিতে আগুন লাগে। দক্ষিণ সেন্ট্রাল রেলওয়ের সিপিআরও সিএইচ রাকেশ জানান, সব যাত্রীদের নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে এবং কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, আগুনে তিনটি বগি S4, S5, S6 প্রবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছে। যদিও পুলিশ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ৭ টি বগিতে আগুন লাগে।
জুন মাসের ২ তারিখ ওড়িশার বাহানাগা বাজার রেল স্টেশনের কাছে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় পড়ে তিনটি ট্রেন। শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস ও যশোবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস ও একটি মালগাড়ি । এই দুর্ঘটনার নেপথ্যে প্রাথমিক ভাবে সিগন্যালিং ব্যবস্থার ত্রুটি ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। Commissioner of Railway Safety র তরফে দুর্ঘটনার পিছনে কোনওরকম অন্তর্ঘাত ও ষড়যন্ত্রের তত্ত্বকে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন যদিও সিবিআই ( Central Bureau of Investigation I) তদন্ত চালাচ্ছে। সেদিন দুর্ঘটনার সময়ে মেন লাইন ধরে যাওয়া করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে সবুজ সিগন্য়াল দেওয়া ছিল মেন লাইনেই। কিন্তু, পয়েন্ট দেওয়া ছিল লুপ লাইনে। কিন্তু, এটা হল কীকরে? অন্তর্ঘাত? না কি মানুষের ভুল? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে অধিকাংশ রেল ট্র্য়াকে, সিগন্য়াল এবং পয়েন্ট পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সিগন্য়াল মেন লাইনে থাকলে, পয়েন্টও মেন লাইনেই থাকার কথা। কিন্তু, সেদিন তা ছিল না। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে সিবিআই।