মুম্বই: সম্প্রতি নেট দুনিয়ায় একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। পাপারাজ্জিদের পক্ষ থেকে একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। আর তাতেই বেড়েছে জল্পনা। ছবিটি হৃত্বিক রোশনের (Hrithik Roshan)। আর তাঁর সঙ্গে দেখা যাচ্ছে আর এক ব্যক্তিকে। ভাইরাল হওয়া ছবিতে হৃত্বিকের পাশে থাকা ব্যক্তিকে দেখে চোখ কপালে উঠছে নেটিজেনদের। 


কার সঙ্গে দেখা গেল হৃত্বিক রোশনকে?


সম্প্রতি নেট দুনিয়ায় পাপারাজ্জিদের সোশ্যাল মি়ডিয়া হ্যান্ডল থেকে একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। ছবিতে হৃত্বিক রোশনের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে 'বিক্রম বেদা' ছবির স্টান্টম্যান মনসুর আলি খানকে। তাঁকে দেখেই চোখ কপালে উঠেছে নেটিজেনদের। এ যেন হুবহু সুশান্ত সিংহ রাজপুত (Sushant Singh Rajput)। স্টান্টম্যানকে দেখে প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতকে মনে করলেন নেটিজেনরা। কমেন্টে ভরিয়েছেন তাঁরা। কেউ বলেছেন, 'দেখে বিশ্বাসই করতে পারছি না।' কেউ আবার লিখেছেন, 'মনে হচ্ছে যেন ফের সুশান্ত সিংহ রাজপুতকে দেখছি'। কেউ আবার লিখেছেন, 'এক পলকে মনে হল যেন সুশান্ত ফিরে এসেছে।' আশ্চর্যের বিষয় হল, হৃত্বিক রোশনের সঙ্গে ছবিতে থাকা স্টান্টম্যানের নাম মনসুর। 'কেদারনাথ' ছবিতে সুশান্তের নামও ছিল মনসুর। সব মিলিয়ে নেট নাগরিকরা ফের মনে করলেন সুশান্ত সিংহ রাজপুতকে।




প্রসঙ্গত, ছবিটি মূলত প্রথমে পোস্ট করা হয়েছিল মনসুর আলি খানের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল থেকেই। হৃত্বিক রোশনের জন্মদিনে এই ছবি পোস্ট করেই অভিনেতাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। 


আরও পড়ুন - Ranbir Kapoor: কাজ করতে চাইছেন না রণবীর কপূর! কেন?


অন্যদিকে, সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যু তদন্ত চলছে এখনও। কিছুদিন আগেই কুপার হাসপাতালের এক মর্গকর্মী বিস্ফোরক বয়ান দেন। তিনি জানান যে, তাঁদের কাছে যখন সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃতদেহ আসে, তখন তা দেখে তাঁর মনে হয়নি যে, সেটা আত্মহত্যার ঘটনা। প্রয়াত অভিনেতার চোখে একাধিক আঘাতের চিহ্ন তিনি দেখেছিলেন। সেই আঘাতের চিহ্ন দেখে তাঁর মনে হয়েছিল, কেউ বুঝি অভিনেতার চোখে বারবার ঘুঁষি মেরেছিল।  শুধু তাই নয়, চোখের পাশের হাড়ও ভাঙা ছিল অভিনেতার।  শরীরের একাধিক হাড় ভাঙা ছিল সুশান্তের। এমনই বক্তব্য তাঁর। কুপার হাসপাতালের কর্মী রূপকুমার শাহ আগেই জানান যে, প্রয়াত সুশান্ত সিংহ রাজপুতের গলায় যে দাগ ছিল, তা আত্মহত্যার সময়ে ফাঁসের দাগ নয়। বরং, কিছু দিয়ে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার সময়ে যেমন দাগ থাকে, তেমন দাগ ছিল। ওই ব্যক্তির দাবি, সেই সময়ে কোন চিকিৎসক ছিলেন, তা তাঁর মনে নেই। কারণ, করোনা পরিস্থিতি চলছিল। সবাই মাস্ক পরে কাজ করছিলেন। তাই, কোন চিকিৎসক ছিলেন, তা তিনি বলতে পারবেন না। ওই ব্যক্তি আরও জানাচ্ছেন যে, তিনি নিজের কথা ভাবছেন না। তিনি চাইছেন সত্য়িটা যেন সামনে আসে।