সঞ্চয়ন মিত্র ও ঋত্বিক মণ্ডল, কলকাতা: সাত সকালে খাস কলকাতায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। উত্তর কলকাতার নিমতলা ঘাট স্ট্রিটের কাঠগোলায় ভয়াবহ আগুন লাগে।  সকাল পৌনে ৮টা নাগাদ একটি গোলার দোতলায় আগুন লাগে। কাঠের কাঠামোর ওপর অ্যাসবেস্টসের ছাউনি ছিল এবং আশেপাশে রয়েছে শ তিনেক কাঠের গোলা। আগুনের গ্রাসে ইতিমধ্যেই প্রায় শতখানেক গোলা চলে গেছে।


পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ইতিমধ্যেই দমকলের ১৮টি ইঞ্জিন। কী কারণে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সিলিন্ডার বিস্ফোরণেরও শব্দ পাওয়া গেছে। একাধিক জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। সেগুলিও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। আশেপাশের বাড়ি থেকে জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে। বহুক্ষণ ধরে চেষ্টা চালিয়েও আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় বিধায়ক শশী পাঁজা। প্রশ্ন উঠছে এই সমস্ত ঘিঞ্জি এলাকার অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা নিয়ে। স্বস্তির বিষয় আগুন লাগার খানিক পরেই সকলকে বের করে আনা সম্ভব হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।


 



 


গতকালই কালিয়াগঞ্জের বাজারে বিধ্বংসী আগুন। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনের কালিয়াগঞ্জ বাজারে ভয়াবহ আগুন লাগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাজারের বেশ কিছু দোকান।


বিধ্বংসী আগুনের জেরে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে বেশ কিছু দোকান। আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। দেখা যায় বেশ কয়েকটি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। স্বভাবতই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনার জেরে বন্ধ হয়ে যায় শিলিগুড়ি বাইপাস রাস্তা। এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। দূরপাল্লার একাধিক গাড়ি আটকে পড়ে। 


যদিও কী কারণে, কীভাবে আগুন লাগে তা জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও কারণ খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান দমকল ও বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা।