রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: স্ত্রীকে কামড়েছিল যে সাপ (Snake Bites Wife), সেটিকেই বোতলবন্দি (bottle) করে হাসপাতালে ছুটে এলেন স্বামী। মগরাহাট (magrahat police station) থানার মাখালিয়া এলাকার ঘটনা। ব্যক্তির সাহসিকতার প্রশংসা করেন হাসপাতালে আসা লোকজন। 


কী ঘটেছিল?
মগরাহাট থানার মাখালিয়া এলাকার বাসিন্দা সন্তোষ মণ্ডল। পেশায় দিনমজুর। বলেন, 'স্ত্রী রেণুকা মণ্ডল ঠাকুর ঘরের চালে ফুল রাখতে গিয়েছিল। তখনই তাঁর বাম হাতের আঙুলে বোড়া সাপ কামড় দেয়। স্ত্রী যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে। আমি ওই সাপটিকে ধরে বোতলে ভরে দিই। তারপর হাসপাতালে নিয়ে আসি।'  চিকিৎসকরা পরে জানান, বিপদের আশঙ্কা নেই।  রেণুকাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পরে হাসপাতালে দায়িত্বরত সিভিক পুলিশরা বনদফতরকে খবর দেন। সাপটিকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য খবর দেওয়া হয়। কিন্তু যে ভাবে নিজের প্রাণের তোয়াক্কা না করে সন্তোষ সাপটিকে বোতলবন্দি করেছেন, সেটির কথা অনেকেই বলছেন বার বার। সন্তোষের যুক্তি, চিকিৎসকরা যাতে সঠিক ভাবে চিকিৎসা করতে পারেন সেই জন্যই ঝুঁকি নিয়ে সাপটি ধরে এনেছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে অজগর সাপ গলায় পেঁচিয়ে সেলফি তোলার হিড়িক শিরোনামে এসেছিল! ছেড়ে দেয়নি অজগরও।


অজগরের সঙ্গে সেলফি...
সেলফি তুলতে যাওয়ায় অজগর ছোবল বসায় দুই ব্যক্তিকে। মুরগি খেতে জলপাইগুড়ির এক বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল প্রায় ১০ ফুট লম্বা অজগর সাপ। আর সেই সাপ উদ্ধারের জন্য বন দফতর থেকে কর্মীরা না আসায়, কয়েকজন যুবক মিলে  নিজেরাই ধরে ফেলেন সাপটিকে। স্থানীয় সূত্রে এমনটাই দাবি। এরপর সেই অজগর সাপকে গলায় পেঁচিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে গয়েরকাটা রেঞ্জ অফিসের সামনে এসে হাজির হন তাঁরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিশাল এক অজগর সাপকে কাঁধে তুলে উল্লাস শুরু করেন। এরকম কাণ্ড দেখে হতবাক সর্প বিশেষজ্ঞ থেকে পরিবেশ প্রেমীরা।  অজগর সাপ টিকে নিয়ে রীতিমতো উল্লাস করেন তাঁরা।  সেল্ফি তোলার হিড়িক পড়ে যায় গয়েরকাটা শহরে। জানা যায়, গয়েরকাটার হিন্দু পাড়া এলাকায় বাসন্তী কুজুরের  বাড়িতে মুরগি খেতে ঢুকেছিল ওই  অজগরটি। এলাকার  যুবকেরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাপটিকে ধরতে গেলে জঞ্জালু রায়ের ও কুসুম কলুনিয়া নামে  দুই যুবককের হাতে কামড় বসিয়ে দেয় ওই অজগর। তবুও প্রায় ১০ ফুট লম্বা অজগরটিকে তারা কব্জা করে এবং কাঁধে তুলে  নেয়। এভাবেই এক কিলোমিটার রাস্তা অজগরটি কাঁধে নিয়ে উল্লাস করতে করতে  হেঁটে শহর পার হয়। এইভাবে হই হট্টগোল করতে করতে আসা যুবকদের দেখে অনেকেই মনে করেছিলেন কোনও টুর্নামেন্ট জিতে ফিরছেন বুঝি তাঁরা।  কিন্তু কাছে আসতে সকলের চোখ কপালে উঠে যায় , ভয়ঙ্কর এই দৃশ্য দেখে। 

আরও পড়ুন:সাতসকালে ঘন কুয়াশা, কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া?