হায়দরাবাদ: ছেলে যদি মেয়েটিকে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে মেরে থাকে, তাহলে ওকেও পুড়িয়ে মারা উচিত – জোরের সঙ্গে বললেন হায়দরাবাদ গণধর্ষণকাণ্ডের এক অভিযুক্তর মা। বিশ্বাসই করতে পারছেন না, তাঁর ছেলে এমন কাণ্ড ঘটাতে পারে। তবু যদি অভিযোগ সত্যি হয়, তাহলে যেন অন্য অপরাধীদের মতোই শাস্তি হয় তাঁর ছেলের, বললেন অভিযুক্ত চিন্নাকেশাভুলুর মা।
তেলঙ্গনায় তরুণী পশু চিকিৎসকের গণধর্ষণ ও পুড়িয়ে মারার ঘটনা সামনে আসার পর মৃতার মা দাবি করেন, তাঁর মেয়ের এই পরিণতির পিছনে যারা দায়ী তাদেরও যেন একই পরিণতি হয়।
নিগৃহীতার মায়ের এই কথা শুনে অভিযুক্ত চিন্নাকেশাভুলুর মা বলেন, ‘উনি তো মেয়েকে ৯ মাস গর্ভে ধারণ করেছেন, তাঁর সন্তানের সঙ্গে যা ঘটেছে, তারপর তাঁর মনের অবস্থা তো বুঝতে পারছি।’
ছেলের কীর্তির কথা শুনে তিনি বলেন, ‘এখন যদি আমি ছেলের হয়ে কথা বলি, তাহলে বাকি জীবন আমাকে মানুষের ঘৃণা নিয়ে কাটাতে হবে।’
অন্যদিকে ধর্ষণ-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত আরিফের মা বলেন, ওইদিনের ঘটনার পর আরিফ বাড়ি ফিরে বলে আরিফের লরির দুর্ঘটনায় মেয়েটির মৃত্যু হয়। অভিযু্ক্তর বাবা স্পষ্টই জানিয়ে দেন, তাঁর ছেলের যা শাস্তি হওয়া উচিত হোক!
সাইবারাবাদ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিগৃহীতা যখন টোল প্লাজায় স্কুটার পার্ক করে গাড়ি বা বাস ধরতে যান, তখনই তাঁকে ধর্ষণ ও খুনের ছক কষে ফেলে তারা। অভিযুক্তরা ওই সময় সেখানে বসে মদ্যপান করছিল বলে জানা গেছে। এরপরই কাজ সেরে ফেরার সময় পার্কিং জোনে এসে তিনি দেখেন, স্কুটারের চাকা পাংচার হয়ে গেছে। তখনই খারাপ কিছু আন্দাজ করেই দিদিকে ফোন করেন তিনি। এরপরই ওই চার দুষ্কৃতীর খপ্পরে পড়ে যান নিগৃহীতা। অভিযুক্তদের বয়ান অনুসারে, তরুণীকে ধর্ষণ করে, শ্বাসরোধ করে খুন করে তারা। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য পেট্রেল কিনে এনে, দূরে গিয়ে তাঁর দেহ জ্বালিয়ে দেয়।
এই ঘটনার পর দেশব্যাপী ধর্ষকদের কঠিন শাস্তির দাবিতে পথে নেমেছে মানুষ। প্রতিবাদের ঝড় সোশ্যাল মিডিয়াতেও। সাধারণ মানুষ থেকে সেলিব্রিটি, সকলেই এই ঘৃণ্য অপরাধের বিরুদ্ধে মতপ্রকাশ করেছেন।