একটা সময় মুম্বইয়ের লোখান্ডওয়ালায় এক সঙ্গে থাকতেন সুশান্ত, অঙ্কিতা ও সন্দীপ। তিনজনেই তখন জীবনে দাঁড়ানোর জন্য লড়াই করছেন। কিন্তু পরে সুশান্ত-অঙ্কিতার বিচ্ছেদ হয়ে যায়। সন্দীপের উপলব্ধি, সেই বিচ্ছেদ যদি না ঘটত, যদি সুশান্ত-অঙ্কিতা বিয়ে করতেন, তবে এভাবে সুশান্তকে চলে যেতে হত না।
ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, প্রিয় অঙ্কিতা, রোজ একটা করে দিন কেটে যাচ্ছে আর আমাকে কুরে কুরে খাচ্ছে একটা ভাবনা, যদি.. যদি আমরা আরও বেশি করে চেষ্টা করতাম, ওকে থামাতে পারতাম, আমরা ভিক্ষে চাইতে পারতাম ওর কাছে!
যখন তোমাদের বিচ্ছেদ হয়ে গেল, তখনও তুমি ওর জন্য শুধু আনন্দ আর সাফল্য চেয়েছ.. তোমার ভালবাসায় কোনও খাদ ছিল না। তুমি এখনও তোমার বাড়ির নেমপ্লেট থেকে ওর নাম সরাওনি। লোখান্ডওয়ালায় আমরা এক সঙ্গে থাকতাম, সেই দিনগুলো মিস করি। কত মুহূর্ত, আজ কাঁদিয়ে ফেলছে আমাকে.. এক সঙ্গে রান্না করা, খাওয়াদাওয়া, এসি থেকে জল পড়া, আমাদের স্পেশাল মাংস ভাত, উট্টাল, লোনাভালা, গোয়াতে আমাদের লং ড্রাইভ! আমাদের পাগলের মত দোল খেলা! সেই হাসিঠাট্টা, জীবনের অসম্ভব খারাপ মুহূর্তগুলো এক সঙ্গে কাটানো, আমরা পরস্পরের জন্য ছিলাম। সব থেকে বেশি ছিলে তুমি, অঙ্কিতা। সুশান্তের মুখে হাসি ফোটাতে তুমি কী না করতে।
সন্দীপ আরও লিখেছেন, আজও আমি মনে করি, তোমরা একে অপরের জন্য তৈরি হয়েছিলে। তোমাদের ভালবাসা সৎ ছিল। এইসব চিন্তা, স্মৃতি আমার মনে বারবার যন্ত্রণা তৈরি করছে.. কীভাবে সেই সব সময় ফিরে পাই! আমি আমাদের তিনজনকে আবার ফিরে পেতে চাই! সেই মালপোয়ার কথা! কীভাবে ও শিশুর মত আমার মায়ের তৈরি মাটন কারি খেতে চেয়েছিল!
সন্দীপের উপলব্ধি, আমি জানি, একমাত্র তুমিই ওকে বাঁচাতে পারতে। যদি আমরা যেমন স্বপ্ন দেখতাম, সেভাবেই তোমাদের বিয়ে হত। শুধু তোমার উপস্থিতি দিয়েই ওকে বাঁচাতে পারতে তুমি। তুমি ওর বান্ধবী ছিলে, স্ত্রী ছিলে, মা ছিলে। ওর বরাবরের শ্রেষ্ঠ বন্ধু ছিলে। আমি তোমাকে ভালবাসি অঙ্কিতা। তোমার মত একজন বন্ধু আমায় যেন কখনও হারাতে না হয়। আমি তা সইতে পারব না।
দেখুন তাঁর পোস্ট