সংবাদ সংস্থাকে তিনি বলেছেন, আমি আইএএস অফিসার, তাই নিজের দায়িত্ব পালন করতেই হবে। কোভিড-১৯ পর্বে দায়িত্ব সবারই। ঈশ্বর মেয়েদের সন্তানের জন্ম দেওয়ার, তার খেয়াল রাখার শক্তি দিয়েছেন। গ্রাম ভারতে মেয়েরা ঘরের কাজ করে, গর্ভাবস্থায়ও কাজ করে, সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় চলে এলেও বেঁচে থাকার যাবতীয় কাজকর্ম করে যেতে হয়। আবার সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরও তাদের ঘর, পরিবার, সংসার সামলাতে হয়। ঠিক তেমনই ঈশ্বরের আশীর্বাদে তিন সপ্তাহের কন্যাসন্তানকে নিয়েই প্রশাসনিক কাজকর্ম চালাতে পারছি।
তিনি আরও বলেছেন, আমার পরিবার এ ব্যাপারে পাশে থেকেছে আমার, সাহায্য করেছে। আমার গোটা তহশিল, গাজিয়াবাদ জেলা প্রশাসন, যারা আমার পরিবারের মতোই, গর্ভাবস্থায়, বাচ্চা হওয়ার পরও আমায় সাহায্য করেছে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, প্রশাসনিক কর্মীরাও এই পুরো সময়টা আমায় সাহায্য করেছেন। এসডিএম বলেছেন, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর গাজিয়াবাদে কোভিড সংক্রান্ত নোডাল অফিসার ছিলাম। সেপ্টেম্বরে অপারেশনের সময় ২২ দিন ছুটি নিয়েছিলাম। সন্তান প্রসবের দু সপ্তাহ পরই তেহশিলে যোগ দিই।
কোভিড-১৯ অতিমারীর মধ্যে কাজ করার সময় প্রতিটি গর্ভবতী মহিলার অবশ্য়ই প্রয়োজনীয় আগাম সতর্কতা নেওয়া উচিত বলে অভিমত জানিয়েছেন সৌম্য়া।