নয়াদিল্লি: করোনা আবহেই চিন্তা বাড়াচ্ছে মিউকোরোমাইকোসিস ( mucormycosis) বা কালো ফাঙ্গাস। দিল্লি, গুজরাত, মহারাষ্ট্র এবং বেঙ্গালুরুতে বেশ কিছু এলাকায় কোভি়ড রোগীদের এই রোগ ধরা পড়েছে ইতিমধ্যেই। চিকিৎসকরা বলছেন সময় মতো সঠিক চিকিৎসা না হলে ভয়াবহ আকার নিতে পারে এই রোগ। সাধারণত ত্বক বা নাক থেকে এই সমস্যা শুরু হলেও এর প্রভাব পড়ে ফুসফুস এবং মস্তিষ্কেও। সম্প্রতি এ বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্কবার্তা দিয়ে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। 


আইসিএমআরের দেওয়া নির্দেশিকায় রোগীদের বলে দেওয়া হয়েছে কী করবেন আর কী করবেন না, সাবধান হবেন কখন? চিকিৎসাই বা কোথায় করাবেন? জেনে নিন বিস্তারিত।


ঝুঁকিতে কারা


ডায়াবেটিক রোগী
স্টেরয়েড নেন এমন ব্যক্তি
দীর্ঘদিন ICU-তে রয়েছেন এমন ব্যক্তি
কোমর্বিড
ভোরিকোনাজল (অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ওষুধ) থেরাপি



উপসর্গ কী কী


জ্বর
মাথা যন্ত্রণা
সর্দি-কাশি
নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা
রক্তবমি
মানসিক অস্থিরতা


নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোভিড-রোগী, ডায়াবেটিক রোগী বা যাঁদের রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা কম, তাঁদের ক্ষেত্রে এই উপসর্গগুলি দেখা মাত্রই সতর্ক হোন


নাক বন্ধ হয়ে আসা, নাক থেকে চাপা রক্তের মতো বা কালো পুঁজ বেরনো
চোয়ালে ব্যথা, মুখে ব্যথা, মুখ অবস হয়ে ফুলে যাওয়া
নাকের উপর কালচে দাগ
দাঁতে ব্যথা 
দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা, চোখের সমস্যা, জ্বর, ত্বকে অ্যালার্জি
বুকে ব্যথা, নিঃশ্বাসের সমস্য বেড়ে যাওয়া
চোখে বা নাকে ব্যথা, লাল হয়ে ফুলে যাওয়া


কী করবেন


হাইপারগ্লাইসেমিয়া নিয়ন্ত্রণ করুন
কোভিডমুক্ত হওয়ার পর এবং ডায়াবেটিক রোগীরা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়মিত নজরে রাখুন।
সঠিক পরিমাণে এবং সঠিক সময় স্টেরয়েড নেওয়া।
অক্সিজেন থেরাপির সময় পরিষ্কার, স্টেরিলাইজ করা জল ব্যবহার করা। 
প্রয়োজনে চিকিৎসকরে পরামর্শ নিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টি ফাঙ্গাল ওযুধ খান।


কী করবেন না


কোনও উপসর্গ অবহেলা করবেন না।
নাক বন্ধ হওয়া মানেই আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। নাকে কালচে দাগ দেখলেই ভয় পাবেন না। 
ফাঙ্গাসের উপস্থিতি বুঝতে প্রয়োজনীয় কেওএইচ স্ট্রেনিং, মাইক্রোস্কোপি, কালচারের মতো শারীরিক পরীক্ষা করতে ভয় পাবেন না।
চিকিৎসা শুরু করতে দেরি না করে গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট করবেন না।


ঝুঁকি এড়াতে


ধূলোবালি যুক্ত এলাকায় গেলে মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঘিঞ্জি এলাকায় গেলে জুতো, বড় ট্রাউজার, ফুল হাতা জামা পড়ুন।
পরিচ্ছন্ন থাকুন, নিয়মিত স্নান করুন।


সংশ্লিষ্ট সমস্যায় কোন চিকিৎসকের কাছে যাবেন


দন্ত শল্যচিকিৎসক
চক্ষু চিকিৎসক
চোখ-নাক-গলার বিশেষজ্ঞ
স্নায়ু চিকিৎসক
মেডিসিনের চিকিৎসক
জীবাণুবিদ
জৈবরসায়নবিদ