কলকাতা: কোভিড-চিকিৎসার খরচে এবার আয়কর স্বস্তি। ২ লক্ষ টাকার উপর খরচ হলে মিলবে আয়করে ছাড়। চলতি আর্থিক বছরেই মিলবে আয়করে ছাড়। ট্যুইট করে ঘোষণা আয়কর বিভাগের।
এদিকে, করোনার চিকিৎসায় হাসপাতালে নগদ লেনদেনে বিধি বদল। ‘হাসপাতালে নগদেই দেওয়া যাবে ২ লক্ষ বা তার বেশি বিল। ১ এপ্রিল থেকে ৩১ মে পর্যন্ত নগদে বিলের ক্ষেত্রে নির্দেশ। বিল দেওয়ার ক্ষেত্রে প্যান, আধার কার্ড বাধ্যতামূলক। ‘যিনি বিল মেটাচ্ছেন, তার সঙ্গে রোগীর কী সম্পর্ক?’, নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে জানাতে হবে হাসপাতালে, নির্দেশ আয়কর দফতরের।
শনিবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকেও জারি করা হয় রোগী ভর্তি করা নিয়ে নতুন সংশোধিত নির্দেশিকা। কোভিড রোগীদের ভর্তিতে বিলম্ব এড়াতে নতুন পদক্ষেপ কেন্দ্রীয় সরকারের। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে সংশোধিত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে সাফ বলা হয়েছে, হাসপাতালের দ্বারস্থ হওয়া কোনও রোগীকে ফেরানো যাবে না। যদি কোনও রোগীর কাছে কোভিডের রিপোর্ট নাও থাকে, সেক্ষেত্রেও তাঁকে ভর্তি নিতে হবে হাসপাতালে। সব হাসপাতালকেই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সন্দেহজনক রোগীদের আলাদা ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসার জন্য সেই ধরণের ওয়ার্ডের সংখ্যা বাড়াতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এক শহরের রোগী অন্য শহরে গিয়ে ভর্তি হতে চাইলেও ফেরানো যাবে না রোগীকে। সঙ্গে বিভিন্ন রাজ্য সরকারকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে কোভিডের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
গোটা দেশেই ক্রমশ ভয়ঙ্কর চেহারা নিচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। লাখো লাখো ভারতীয় রোজ সংক্রমিত হচ্ছেন। রোজই আমরা হারাচ্ছি একাধিক ভারতবাসীকে। এর মাঝেই গোটা দেশ জুড়ে করোনা চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে বেড থেকে অক্সিজেনের সংকুলান চিন্তা বাড়াচ্ছে। এর মাঝে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচার করে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের শনিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লক্ষ ১ হাজার ৭৮ জন। শুক্রবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪ লক্ষ ১৪ হাজার ১৮৮। বৃহস্পতিবার একদিনে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪ লক্ষ ১২ হাজার ২৬২ জন।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ১৮৭ জনের। শুক্রবার দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৯১৫। বৃহস্পতিবার একদিনে মৃত্যু হয়েছিল ৩ হাজার ৯৮০ জনের।