কলকাতা: বিধানসভার অধ্যক্ষ নির্বাচিত হলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ধ্বনিভোটের মাধ্যমে বিধানসভায় অধ্যক্ষ নির্বাচিত হলেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে টানা তৃতীয়বারের জন্য় বিধানসভার অধ্যক্ষ নির্বাচিত হলেন তিনি।
এদিন সকাল ১১টা নাগাদ বিধানসভায় পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন নব-নির্বাচিত বিধায়করা। সভার কাজ শুরু করেন প্রোটেম স্পিকার সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি অধ্যক্ষ নির্বাচনের প্রক্রিয়ার সূচনা করেন।
স্পিকার পদে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রস্তাব করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই প্রস্তাব সমর্থন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ধ্বনিভোটের মাধ্যমে প্রস্তাব পাশ হয়।
এরপর, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানিয়ে তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। অধ্যক্ষের আসন গ্রহণ করে মুখ্যমন্ত্রী সহ উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানান নব-নিযুক্ত অধ্যক্ষ।
পরে, বক্তব্য রাখার সময়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, মাননীয় স্পিকারকে অভিনন্দন। স্পিকার মহাশয়েরও হ্যাটট্রিক, আমাদেরও হ্যাটট্রিক। বিধানসভা ঠিকঠাক চালানোর সব ক্ষমতা এখন স্পিকারেরই উপর।’
তিনি যোগ করেন, ‘রাজ্য বিধানসভার একটা নিজস্বতা আছে। এই বিধানসভায় অনেক ঐতিহাসিক বিল পাস করেছে। বাংলার মা-বোনেদের জন্য কাজ করবে নতুন সরকার। এই ভোটে আমরা তরুণ প্রজন্মর সমর্থন পেয়েছি।’
এদিন স্পিকার নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিজেপি। রাজ্যে হিংসা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত বিধানসভা ও অধ্যক্ষ নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি রাজ্য সভাপতি আগেই সেকথা জানিয়ে রেখেছিলেন।
এই প্রসঙ্গে এদিন কটাক্ষের সুর শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। তিনি বলেন, আমন্ত্রণ জানানো হয়ছিল। ওরা বয়কট করেছে। ওদের তো জনগণ বয়কট করেছে। তাতেও ওদের লজ্জা নেই।
ভোটের প্রচারে বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার স্লোগানকেও এদিন কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘বিজেপির ডবল ইঞ্জিন প্রচারের পাল্টা তৃণমূলের ডবল সেঞ্চুরি।’ তিনি যোগ করেন, ‘বিধানসভার ৪৬ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কংগ্রেস-বাম নেই।’
এর আগে, বুধবার তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজভবনের থ্রোন রুমে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।