নয়া দিল্লি: হাড়ের সমস্যা (Bone Problem) নিয়ে ভোগেন অনেকেই। বিশেষত বয়স হলে। হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার সমস্যায়ও নতুন নয়। বয়স বাড়লে এই সমস্যা যেমন প্রকট হয়, তেমন সমাধান সূত্রও প্রায় নেই। সেই সুরাহা দিতেই এবার আইআইটি কানপুরের (IIT Kanpur) চিকিৎসক আবিষ্কার করে ফেললেন একটি ইনজেকশন। যা দিয়ে ক্ষয়ে যাওয়া হাড় আবার নতুন করে তৈরি (Bone Regeneration) হবে শরীরে। 


জানা গিয়েছে, একটি রাসায়ানিক মিশ্রণ তৈরি করেছেন তিনি। সেটি ক্ষয়ে যাওয়া হাড়ের নির্দিষ্ট স্থানে ইনজেক্ট করলে সেখানে ফের নতুন করে হাড় গজাবে। এমনই নয়া প্রযুক্তি। এই দুই মিশ্রণ আসলে বায়োঅ্যাকটিভ অণুর বাহক হিসেবে কাজ করবে। যিনি এই প্রযুক্তি তৈরি করেছেন সেই বায়োসায়েন্স এবং বায়োইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক অশোক কুমার বলেন, "আসল হাড় তৈরি হবে না তবে আসলের মতোই কৃত্রিম হাড় তৈরি হবে ক্ষত স্থানে।" 


অধ্যাপক এও বলেন, ভারতে এই চিকিৎসা এর আগে হয়নি কখনও। তাই দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই আবিষ্কারকে বিপ্লবও বলা যায়।" বুধবার একটি বেসরকারি কোম্পানির কাছে প্রযুক্তি হস্তান্তরের চুক্তি সইও হয়েছে। 


কীভাবে কাজ করবে এই ইনজেকশন? 


অধ্যাপক জানান, রাসায়ানিক ওই মিশ্রণটি শরীরে প্রবেশ করে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছনোর ১৫ মিনিটের মধ্যেই জমে শক্ত হয়ে যাবে। তবে এর ফলে রক্তে অক্সিজেন সঞ্চালনের ক্ষেত্রে কোনও ব্যাঘাত ঘটাবে না। শরীরের নিজস্ব যে ক্ষত সারানোর প্রকিয়া রয়েছে সেটিও ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। 


এর ফলে রোগীদের কী কী সুবিধা হতে পারে? 


আইআইটি অধ্যাপক বলেন, "সাধারণত, হাড়ের টিবি বা ক্যান্সারের ক্ষেত্রে, রোগীদের আক্রান্ত অঙ্গ কেটে ফেলা ছাড়া আর কোন উপায় থাকে না। কারণ হাড়ের পুনঃবৃদ্ধির কোন আশা থাকে না। একই সময়ে, দুর্ঘটনায় হাড় ভেঙে যাওয়ার ঘটনায় একই অবস্থা হয় চিকিৎসকদের। অনেকসময় উরু বা শরীরের অন্য কোনও অংশ থেকে হাড়ের টুকরো অপসারণ করে প্রতিস্থাপন করা হয়। কিন্তু সেক্ষেত্রে অন্য রোগেরও সম্ভাবনা থাকে।" 


এই প্রযুক্তির উপকারীতা কী? 


অধ্যাপক বলেন, "এটি জয়েন্টের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করতে পারে। হাড় গঠনের পর, ন্যানো-হাইড্রোক্সিপেটাইট এবং ক্যালসিয়াম হেমিহাইড্রেট শরীর থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্গত হবে।"