কলকাতা: স্বাস্থ্যক্ষেত্রে পরিষেবা যাঁরা দিয়ে থাকেন, তাঁদের উপর হামলার প্রতিরোধের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ দাবি করল চিকিৎসকের সংগঠন IMA. তাঁদের দাবি, এই ধরনের ঘটনা রোখার জন্য কেন্দ্রীয় আইন আনা হোক। এর সঙ্গেই হাসপাতাগুলিকে সেফ জ়োন বলে ঘোষণা করে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা বলয় তৈরি করার দাবি করেছেন।


সম্প্রতি আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে দেশ। সরকারি হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীর নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠেছে এই ঘটনায়। এর পরপরই ওই হাসপাতালেই রাতে ব্য়াপক ভাঙচুর-তাণ্ডবের ঘটনা ঘটেছে। তা নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। এই ২ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসকদের এই সংগঠনের তরফে এমন দাবি করা হয়েছে ।


এই ঘটনার প্রতিবাদে IMA দেশব্যাপী ২৪ ঘণ্টার জন্য নন-এমারজেন্সি পরিষেবা দেওয়া বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার সকাল ৬টা থেকে তা শুরু হয়েছিল। তারপরেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে ৫টি দাবি রাখা হয়েছে।


১. একটি কেন্দ্রীয় আইন তৈরি করার দাবি জানানো হয়েছে। তার সঙ্গেই চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী এবং হাসপাতালের সুরক্ষা সংক্রান্ত কিছু দাবি করা হয়েছে


২. বিমানবন্দরে যেমন সুরক্ষাবিধি হয়েছে, হাসপাতালেও তেমন করার দাবি করা হয়েছে। হাসপাতালগুলিকে সেফ জ়োন ঘোষণা করে বাধ্যতামূলকভাবে বেশ কিছু নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হোক। 


৩. নির্যাতিতা ৩৬ ঘণ্টা ধরে কর্মরত ছিলেন। তারপরেও বিশ্রামের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা ছিল না বলে অভিযোগ। রেসিডেন্ট ডাক্তারদের জন্য কাজের জায়গার পরিবেশের উন্নতি করার ডাক দেওয়া হয়েছে।


৪. নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঠিকমতো তদন্ত ও বিচার


৫. ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য সম্মান বজায় রেখে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান। 


R G কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে ২৪ ঘণ্টা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল চিকিৎসকদের সংগঠন, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। পাটনা AIIMS-এ কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছিলেন চিকিৎসকরা। একই ছবি দেখা গিয়েছিল চেন্নাইতেও। রাজীব গাঁধী গভর্নমেন্ট হাসপাতাল ও ম্যাড্রাস মেডিক্যাল  কলেজেও কর্মবিরতি পালন করেছেন চিকিৎসক সংগঠন, রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন। তবে হাসপাতালগুলিতে জরুরি পরিষেবা চালু ছিল। শুধুমাত্র আউটডোর পরিষেবা বন্ধ ছিল, সাধারণ অস্ত্রোপচারও হচ্ছিল না।


NCW-এর দাবি:
RG কর মেডিক্যাল কলেজে হঠাৎ সংস্কারের নামে তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছে, দাবি করল জাতীয় মহিলা কমিশন। NCW-র দুই সদস্যের তদন্ত কমিটির দাবি, হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক, নার্স, ইন্টার্নদের জন্য যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। এমনকী, ন্যূনতম পরিকাঠামোর ব্যবস্থাও নেই বলে জাতীয় মহিলা কমিশনের তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ। রিপোর্টে পুলিশের ভূমিকা এবং RG কর মেডিক্যালের প্রাক্তন অধ্যক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। জাতীয় মহিলা কমিশনের তদন্ত কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ, ঘটনাস্থল অবিলম্বে সিল করা উচিত ছিল পুলিশের।'


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: সাতসকালে শিয়ালদা দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচলে ধাক্কা, অবরোধ সুভাষগ্রামে