নয়া দিল্লি: বিশ্বজুড়েই উষ্ণায়ণের প্রভাব পড়ছে। তা স্থলে হোক বা জলে। হিমালয়-আল্পসের হিমবাহ হোক কিংবা আন্টার্কটিকা-বরফের চাদরে ফাটল ক্রমশ চওড়া হচ্ছে। বাতাসে বেড়ে চলেছে দূষণ। এর মধ্যে আবহাওয়ার খামকেয়ালি চরিত্র তো আছেই। সব মিলিয়ে এবছরের নভেম্বরের আবহাওয়ার পরিসংখ্যান ভয় ধরানো। ১২৩ বছরের মধ্যে ২০২৪-এর নভেম্বরে রেকর্ড গরম। মৌসম ভবনের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯০১ সালে এমন উষ্ণ অঘ্রাণ দেখেছিল ভারত। 


যদিও ১২৩ বছরের আবহাওয়ার ইতিহাসে এটি প্রথম নয় দ্বিতীয়। এর আগেও গরমের এমন বাড়বাড়ন্ত টের পাওয়া গিয়েছিল। তবে শুধু ভারতে নয়, বিশ্বজুড়েই এবারে বড্ড চঞ্চল আবহাওয়া। আবহবিদদের কথায়, বর্ষার সময়কাল অক্টোবরে এসে যাওয়ায় শীতের অবস্থান বদলেছে। এমনকী, পরিসংখ্যান বলছে, গত পাঁচ বছরের মধ্যে চলতি বছরে উষ্ণতম নভেম্বরর সাক্ষী থাকল দিল্লি।  


সাধারণত নভেম্বরের শেষভাগ থেকে তাপমাত্রার পারদ নামতে শুরু করে। একদিকে চরম দূষণ, অন্যদিকে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি, সঙ্গী এল নিনো, ঘূর্ণিঝড়ের দাপট। সব মিলিয়ে নভেম্বরে দেশে গড় সর্বোচ্চ, সর্বনিম্ন এবং গড় তাপমাত্রা ০.৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১.০৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ০.৮৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে যা ১৯০১ থেকে ২০২০ পর্যন্ত পরিমাপ করা তাপমাত্রার চেয়ে বেশি। এ বছরের নভেম্বর সর্বাধিক তাপমাত্রার পরিপ্রেক্ষিতে দ্বিতীয় উষ্ণতম এবং গড় তাপমাত্রার জন্য তৃতীয় উষ্ণতম স্থান বিশ্বের আবহাওয়ার তারতম্যর নিরিখে।                                              


আরও পড়ুন, কলকাতার দোকান-রেস্তোরাঁর সাইনবোর্ডে আসছে বড় বদল? মানতেই হবে এই নিয়ম?


মৌসম ভবন সূত্রে উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আবহাওয়ার এই খামখেয়ালি আচরণে। এই অঞ্চলগুলিতে গড় তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ১.৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দেশের মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ উপদ্বীপ অঞ্চলের তাপমাত্রাও স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে বেশি ছিল।  


চলতি বছরে নিম্নচাপ-ঘূর্ণিঝড়ের বড় প্রভাব পড়েছে আবহাওয়ায়। তবে শুধু নভেম্বর নয়, ২০২৪ সালের অক্টোবর হল শতাব্দীর সবথেকে গরম অক্টোবর, এর আগে এমনটা জানিয়েছিল মৌসম ভবন।                                             


 



আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে