নয়াদিল্লি: নোভেল করোনাভাইরাস অতিমারীর সম্ভাব্য দ্বিতীয় আগ্রাসনের সঠিক মোকাবিলা সুনিশ্চিত করতে ভারতের মতো দেশগুলির স্বাস্থ্য পরিষেবা পরিকাঠামো চাঙ্গা রাখার জন্য তার পিছনে খরচ চালিয়ে যাওয়া উচিত বলে অভিমত জানালেন গীতা গোপীনাথ। বিশ্বব্যাঙ্কের মুখ্য অর্থনীতিবিদ কোভিড-১৯ সংক্রমণ মোকাবিলায় চালু লকডাউনের জেরে ভারতের অর্থনীতি বিপর্যয়ের মুখে। তখন একটি টিভি সাক্ষাত্কারে এই নামী অর্থনীতিবিদের পরামর্শ, কোভিড-১৯ এর ফলে ঘনিয়ে ওঠা সঙ্কটে বিপদে পড়া বাণিজ্য সংস্থাগুলি, মানুষের কথাও খেয়াল রাখা উচিত সরকারগুলির, তাদের প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত।
গত মাসে কেন্দ্রের মোদি সরকার নতুন তৈরি হওয়া প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার আওতায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও তার পরের লকডাউন পর্বে সঙ্কটে পড়া মানুষের জন্য় ১.৭ লক্ষ কোটি টাকার ত্রাণ প্যাকেজ ঘোষণা করে। এই অর্থ দেশের মোট ঘরোয়া উতপাদনের(জিডিপি)প্রায় ১ শতাংশ। গোপীনাথ এর প্রশংসা করেন। লকডাউনের ফলে সবচেয়ে কঠিন সমস্য়ায় পড়া গরিবের হাতে নগদ অর্থ দেওয়ার মতো সরকারি পদক্ষেপ সময়োচিত বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, আইএমএফ তাদের সর্বশেষ রিপোর্টে বলেছে, চলতি বছর একমাত্র যে দুটি অর্থনীতি মন্দার কবল থেকে রেহাই পেলেও পেতে পারে, তারা হল চিন ও ভারত। কিন্তু সেটা হলেও তাদের বৃদ্ধির হার থাকবে অতি সামান্য। চিনের হার হতে পারে ১.২ শতাংশ, ভারতের ১.৯ শতাংশ।


দেশের অর্থব্যবস্থায় যথেষ্ট নগদের সরবরাহ চালু রাখার ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রয়াসেরও সুখ্যাতি করেন গোপীনাথ। বর্তমান পরিস্থিতি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে (এমএসএমই) ঋণ দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ, জরুরি বলে অভিমত জানান তিনি। গত মাসেই ২০২০- র ১ মার্চ পর্যন্ত বকেয়া যাবতীয় মেয়াদি লোনের ওপর পেমেন্টে তিন মাসের স্থগিতাদেশ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ব্য়াঙ্ক।
ব্য়াপক আর্থিক মন্দার ধাক্কায় বিশ্ব অর্থনীতি থেকে প্রায় ৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বেরিয়ে যাবে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, সার্জিকাল মাস্ক, গাউন ও ভেন্টিলেটরের মতো মেডিকেল সামগ্রী রপ্তানির ওপর কোনওরকম বিধিনিষেধ জারি করা উচিত নয় সব দেশেরই, কেননা করোনাভাইরাস অতিমারী মোকাবিলায় এগুলির বিপুল চাহিদা রয়েছে।