ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের শীর্ষ আদালতে স্বস্তি প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। ইমরানের গ্রেফতারিকে বেআইনি ঘোষণা করল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি ইমরান খানকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। ইমরানের খানের সঙ্গে যা হয়েছে তা ঠিক নয় বলেও মন্তব্য করেছে সে দেশের শীর্ষ আদালত। 


মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বাইরে থেকে পাকিস্তান রেঞ্জার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতার করে। আল কাদির ট্রাস্ট মামলার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের কারণে এই গ্রেফতার বলে জানানো হয়েছিল। ১মে পাকিস্তানের National Accountability Bureau (NAB) ইমরান খানের বিরুদ্ধে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট জারি করেছিল।


ইমরানের গ্রেফতারির পরেই সেদেশে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। ইমরানের সমর্থক, পিটিআই-এর সমর্থকরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। রাওয়ালপিন্ডিতে পাক সেনার কার্যালয়ে ঢুকে হামলা চালায় পিটিআই সমর্থকরা। লাহোরে সেনা কর্তার বাসভবনেও হামলা চালানো হয়। পাকিস্তানের একাধিক শহরে শুরু হয় হিংসা-বিক্ষোভ। 


তারপরেই বুধবার পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ-এর তরফ থেকে সুপ্রিম কোর্টে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশের বিরোধিতা করে আবেদন করে। 







বৃহস্পতিবার, পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের ৩ সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ ইমরান খানকে নিয়ে আসার জন্য সেদেশের সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ মতো বিপুল নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ইমরান খানকে এদিন পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে আসা হয়। সেখানে ইমরান খান অভিযোগ করেন যে তাঁকে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট চত্বর থেকে অপহরণ করা হয়েছে, তাঁকে লাঠি দিয়ে মারধরও করা হয়েছে। তারপরেই পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় যে ইমরান খানকে এভাবে গ্রেফতার করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীকে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়। সেদেশের সুপ্রিম কোর্ট এটাও জানিয়েছে যে কোর্ট চত্বর থেকে এভাবে কাউকে গ্রেফতার করা যায় না। শুক্রবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের সামনে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ইমরান খানকে। এদিন বিচারপতিদের যে তিন সদস্যের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে তাতে ছিলেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল, বিচারপতি মহম্মদ আলি মাজহার এবং বিচারপতি আতহার মিনাউল্লাহ। 


আরও পড়ুন: খাওয়ার আগে ভিজিয়ে রাখেন? কোন কোন খাবারে এমন করতেই হবে?