নয়াদিল্লি: নীতীশ কুমারের ট্যুইটে ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। বিহার বিধানসভা ভোটে এনডিএ-র জয়ের জন্য প্রথম প্রতিক্রিয়া দিয়ে জেডি (ইউ) নেতা লেখেন, জনগণই সিদ্ধান্ত নেন। এনডিএকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেওয়ার জন্য মাথা নত করছি তাঁদের সামনে। প্রধানমন্ত্রী মোদিকেও সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ দিচ্ছি।
আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী যখন বিজেপি সদর দপ্তরে বিহারের ভোটে ইউপিএ-র সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে এনডিএ-র ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত হওয়ার পর দলীয় কর্মীদের বিজয়সভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন, তখনই ট্যুইট করেন নীতীশ। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, বিহারে এনডিএর জয় ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’ নীতিরই জয়। বিহারে ‘নীরব থাকা ভোটাররা’ তাঁদের রায় দিয়েছেন, বিজেপিকে আশীর্বাদ করে চলেছেন বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।


বিহারে এবার যাবতীয় নির্বাচনী সমীক্ষায় করা ভবিষ্যদ্বাণী ভুল প্রমাণ করে ক্ষমতা দখলে রাখছে বিজেপি-জেডি (ইউ) জোট। এবার এনডিএ-তে সদস্য হিসাবে বিহারে লড়েছে বিজেপি, জেডিইউ, বিকাশশীল ইনসান পার্টি, হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা সেকুলার পার্টি। বিজেপি দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েছে ৭৪টি আসন নিয়ে, একক বৃহত্তম দল হয়েছে আরজেডি, ৭৫টি আসন পেয়ে। এবার নীতীশের জেডি (ইউ) আগের চেয়ে শক্তি খুইয়ে পেয়েছে ৪৩টি আসন। গতবার তাদের ছিল ৭১টি আসন। তবে বিজেপি, জেডিইউ একত্রে সরকার গঠনে সমস্যা হবে না।
ভোটের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মেনে নীতীশকুমারই আবার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন বলে জানিয়েছে বিজেপি। নীতীশ মহিলা, দলিত, একেবারে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের সার্বিক উন্নয়ন, তাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ব্যবস্থা নিয়ে নিজেকে উন্নয়নের মুখ হিসাবে তুলে ধরেছেন। ভোটপ্রচারের একেবারে শেষ লগ্নে এটাই তাঁর শেষ নির্বাচন বলে জানিয়েছেন নীতীশ। পটনার সেই সভায় তিনি বলেন, এটাই আমার শেষ নির্বাচন, যার শেষটা ভাল হয়, তার সব ভাল। শেষ পর্যন্ত শক্তি খুইয়েও ক্ষমতায় থেকে গেলেন ২০০৫ থেকে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আসা নীতীশকুমার।