ইটাওয়া: কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়া না থাকলে পাওয়া যাবে না মদ। এমনই নিয়ম চালু হয়েছে উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়া জেলার সাইফাইতে। দোকানের সামনেই জারি করা হয়েছে ফরমান। 


দোকানি জানিয়েছেন, কোভিড ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট না দেখালে ক্রেতাদের মদ দেওয়া হচ্ছে না। যদিও জেলার আবগারি আধিকারিক কমল কুমার শুক্লা বলেন, ''আমাদের তরফে এরকম কোনও নোটিস জারি করা হয়নি। হতে পারে, সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট মদ বিক্রেতাদের সবাইকে কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য উৎসাহ দিতে বলেছেন।'' 


দেশের বর্তমান ভ্যাকসিনেশনের পরিসংখ্যান বলছে, কোভিড নিয়ন্ত্রণে দেশে চালু রয়েছে টিকাকারণ কর্মসূচি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশে ১৮-৪৪ বয়সিদের মধ্যে ভ্যাকসিন নিয়েছেন ১৯,৮০,২৪৫ জন। এরা সবাই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন। ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৮৭৯২ জন। 


সম্প্রতি ভ্যাকসিন আতঙ্কে ইউপির নদীতে ঝাঁপ দেন কয়েকজন গ্রামবাসী। এমনই বিরল ঘটনার সাক্ষী থেকেছে উত্তরপ্রদেশের বারাবাঁকির গ্রাম।'জীবনদায়ী' ভ্যাকসিনে মৃত্যুর আশঙ্কা করছে বারাবাঁকির সিসউরাহ গ্রাম। জেলা প্রশাসনের দাবি, স্বাস্থ্যকর্মীদের দেখে সরযূ নদীতে ঝাঁপ দেন গ্রামবাসীদের একাংশ। এ প্রসঙ্গে রামনগর তহসিলের সাব ডিভিশনার ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার শুল্কা বলেন, ''শনিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। গ্রামবাসীকে ভ্যাকসিন দিতে গেলে পালিয়ে যান অনেকেই। এমনকী ভ্যাকসিন নেবেন না বলে নদীতে ঝাঁপ দেন গ্রামবাসীদের একাংশ। পরে তাঁদের ভ্যাকসিনের গুরুত্ব বোঝানো হলে ১৮জন কোভিড টিকা নেন।'' গ্রামবাসীরা জানান, ভ্যাকসিনের মধ্যে বিষ আছে বলে তাঁদের বোঝানো হয়েছিল। সেই কারণেই স্বাস্থ্যকর্মীদের দেখে পালিয়ে যান তাঁরা।


কদিন আগেই উত্তরপ্রদেশে বিষ মদের বলি হয়েছেন ২২ জন। ইতিমধ্যেই বিষ মদ বিক্রির অভিযোগে তিনটি মামলা দায়ের করেছে আলিগড় পুলিশ। একই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৬জনকে। ঘটনার পরই সাসপেন্ড করা হয়েছে জেলার আবগারি আধিকারিককে। যদিও জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, কেবল বেআইনি মদ খেয়ে সবার মৃত্যু হয়নি। এর সঙ্গে অন্য কিছু বিষয় জড়িত থাকতে পারে। সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।