এবার কি পাবজি? ফের ৪৭টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করল ভারত, নজরে আরও ২৭৫টি
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ | 27 Jul 2020 02:47 PM (IST)
কেন্দ্রের বক্তব্য, চিনের যে তথ্য ভাগ করে নেওয়ার নীতি আছে, তার জেরে সব চিনা সংস্থাকেই তাদের দেশের সরকারকে গ্রাহক তথ্য দিতে হয়, তা তারা যে দেশেই ব্যবসা করুক। এতে দেশের সুরক্ষা ও গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হচ্ছে।
বেঙ্গালুরু: ভারত সরকার আরও ৪৭টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করল। এর আগে লাদাখ দ্বন্দ্বের প্রেক্ষিতে ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। জানা গিয়েছে, এই ৪৭টি অ্যাপ আগে নিষিদ্ধ হওয়া অ্যাপগুলির ক্লোন হিসেবে কাজ করছিল। নতুন করে নিষিদ্ধ অ্যাপগুলির তালিকা শিগগিরই প্রকাশিত হবে। আরও ২৭৫টি চিনা অ্যাপ কেন্দ্রের নজরে রয়েছে, একটি তালিকা বানিয়েছে তারা। এতে আলিবাবা, পাবজির মত অ্যাপ রয়েছে বলে খবর। সরকার জানিয়েছে, এই অ্যাপগুলি গ্রাহকের গোপনীয়তা ও দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নীতি লঙ্ঘন করছে। অভিযোগ,এই সব চিনা অ্যাপ চিনা গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে কাছে সংবেদনশীল তথ্য দেয়। এর আগে লাদাখ সঙ্কট যখন চরমে, তখন গত মাসে ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে কেন্দ্র। বলে, অ্যাপগুলি দেশের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য ও সুরক্ষার পক্ষে বিপজ্জনক। চিনা বিদেশ মন্ত্রক এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করে, বলে, চিন এ ব্যাপারে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে তারা। চিন সরকার তাদের দেশের ব্যবসাগুলিকে সব সময় আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক আইন মেনে চলার পরামর্শ দেয়। ভারত সরকারের দায়িত্ব, চিনা সহ যাবতীয় আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আইনি নিরাপত্তা সুরক্ষিত রাখা। ভারত যে ২৭৫টি অ্যাপের ওপর নজরদারি করছে, সেগুলির মধ্যে চিনের সব থেকে মূল্যবান ইন্টারনেট সংস্থা টেনসেন্টের গেমিং অ্যাপ পাবজি রয়েছে। এছাড়া রয়েছে ফোন প্রস্তুতকারী সংস্থা শাওমির অ্যাপ জিলি, আলিবাবার আলিএক্সপ্রেস, রেসো, টিকটকের মালিক বাইটডান্সের ইউলাইক অ্যাপ। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সরকার এই সবকটি অ্যাপকেই ব্যান করতে পারে, কয়েকটিকে পারে, আবার আদৌ ব্যান নাও করতে পারে। জানা গিয়েছে, আরও চিনা অ্যাপ চিহ্নিত করে তাদের ফান্ডিং সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করছে কেন্দ্র। নিরাপত্তার কারণে কয়েকটি অ্যাপ ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে, অন্যগুলি গোপনীয়তা লঙ্ঘন সংক্রান্ত কারণে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। কেন্দ্রের বক্তব্য, চিনের যে তথ্য ভাগ করে নেওয়ার নীতি আছে, তার জেরে সব চিনা সংস্থাকেই তাদের দেশের সরকারকে গ্রাহক তথ্য দিতে হয়, তা তারা যে দেশেই ব্যবসা করুক। এতে দেশের সুরক্ষা ও গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হচ্ছে।