নয়াদিল্লি: চিনের নাগরিকদের যাত্রী হিসাবে তোলা যাবে না, সরকার মৌখিক ভাবে সব বিমান সংস্থাকে এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে বলে যে খবর ছড়িয়েছে, তা অস্বীকার করল কেন্দ্র। একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়, চিনা নাগরিকদের যাত্রী হিসাবে না তুলতে সরকার বিমান কোম্পানিগুলিকে বলেছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী এখবর অস্বীকার করে জানিয়ে দিয়েছেন, কোন দেশের নাগরিকদের আসা উচিত, তা নিয়ে কোনওরকম সুপারিশ করা, মতামত দেওয়া উচিত নয়। আমাদের কাছে এধরনের কোনও খবর নেই। সরকার বিমান কোম্পানিগুলিকে এমন নির্দেশ দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে।
গত নভেম্বরে চিন বৈধ ভিসা ও বসবাসের পারমিট থাকা সত্ত্বেও ভারত সহ বিদেশি নাগরিকদের তাদের দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, এর কারণ হিসাবে তারা করোনা অতিমারীর উল্লেখ করেছিল। চিনা দূতাবাস তখন বলেছিল, উপরিউল্লিখিত ক্যাটাগরির ভিসা বা বসবাসের পারমিটধারীদের হেলথ ডিক্লারেশন ফর্মে ছাপ্পা দেবে না ভারতে অবস্থিত চিনা দূতাবাস বা কনস্যুলেটগুলি।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাস অতিমারী সংক্রমণ পর্ব ভারত, চিনের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। আজও তা স্থগিত রয়েছে। দুদেশে যাওয়ার যোগ্য লোকজনকে তৃতীয় কোনও দেশ ঘুরে আসতে হচ্ছে। ভারতের সঙ্গে ট্র্যাভেল বাবল রয়েছে, এমন কোনও দেশ হয়ে আসা যাওয়া করতে হচ্ছে তাদের। এধরনের যাত্রীদের সেই দেশে পৌঁছে ভারতের বিমান ধরার টিকিট কাটতে হচ্ছে।
বিভিন্ন রিপোর্টে প্রকাশ, অধিকাংশ চিনা নাগরিককেই ভারতে আসতে হচ্ছে ইউরোপীয় এয়ার বাবল দেশ ঘুরে।
ভারতে আসার জন্য পর্যটক ভিসা দেওয়া বর্তমানে স্থগিত রয়েছে। তবে বিদেশিদের কর্মসূত্রে বা নন-ট্যুরিস্ট ভিসায় এদেশে আসার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাপী করেনাভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেই তার উত্স কোথায়, এই প্রশ্ন ওঠায় আমেরিকা সহ পশ্চিমি দুনিয়ার একাধিক দেশ নিশানা করেছে চিনকে। উহান শহর থেকে মারণ ভাইরাসের উত্পত্তি হওয়া সত্ত্বেও শি জিনপিং প্রশাসন তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।