নয়াদিল্লি : এই নিয়ে টানা ৫ দিন দেশে করোনা সংক্রমণ ( India Covid Update ) ক্রমেই চড়ছে। শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুসারে, 



  • গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ২৯ জনের।

  • কোভিডে মৃত্যুর হার বেড়ে ১.১৯ শতাংশ।

  • দেশে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৯৮.৭১ শতাংশ।

  • মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, কোভিড সংক্রমণ রুখতে ২,২০,৬৬,২৫,১২০ টি টিকার ডোজ
     দেওয়া হয়েছে। 

  • এখন করোনার দৈনিক সংক্রমণের হার ৪.৪২ শতাংশ। 


বৃহস্পতিবারই একদিনে সংক্রমিতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়ায়। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ১৫৮ জন, যা গত ৮ মাসে সর্বাধিক। লাফিয়ে বাড়ছে সক্রিয় রোগীর সংখ্য়া। করোনায় নতুন করে মৃত্যু বাড়ছে দিল্লি, কেরল, মহারাষ্ট্রে।         


বৃহস্পতিবার, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকশিত রিপোর্ট অনুসারে, সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪৪ হাজার ৯৯৮। গত ২২৩ দিনের মধ্যে এই সংখ্যা সর্বোচ্চ। বুধবার করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৮৩০। বৃহস্পতিবার সেই সংখ্যা পেরিয়ে গেল ১০ হাজারের গণ্ডি। দৈনিক পজিটিভিটি রেট প্রায় ৪.৪২ শতাংশ। সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট ৪.০২ শতাংশ।                             


ফিরছে কোভিড। তাই দেশজুড়ে সোমবার করোনা মক ড্রিলের আয়োজন করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কোভিডের সময় যে পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছিল, তা কী অবস্থায় রয়েছে, খতিয়ে দেখতেই এই মক ড্রিল।                  


কেন বাড়ছে কোভিড?
দেশে ক্রমাগত ঊর্ধ্বগামী দৈনিক কোভিড সংক্রমণের ছবি। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কোভিড ভ্যারিয়েন্ট XBB.1.16- এটাই এখন কোভিড সংক্রমণের বৃদ্ধির জন্য দায়ী। বিজ্ঞানীদের মতে ভারতের জনগণের শরীরে স্বাভাবিক উপায়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন এসেছে, তার সঙ্গেই রয়েছে টিকাজনিত প্রতিরোধ ক্ষমতা। সেই কারণেই সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও সেভাবে হাসপাতালে ভর্তির ঘটনা দেখা যাচ্ছে না। যদিও আগেভাগেই সাবধান হতে বলছেন বিজ্ঞানীরা। ভিড়ের মধ্যে মাস্ক পরতে বলছেন। টিকা না নেওয়া হয়ে থাকলে তা নিয়ে নিতে বলছেন। এর আগেও নরেন্দ্র মোদি কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে মিটিং করেছেন। সেখানেও একাধিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে অন্যতম ছিল  মাস্ক পরা।