নয়াদিল্লি : ভূস্বর্গে বড়সড় হামলার ছক ? নাকি ভারত ভূখণ্ডেই বড়কিছু করার ফন্দি ? পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জড়ো হল সন্ত্রাসের তিন মাথা। একদিকে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা, অন্যদিকে পশ্চিমি এশিয়ার সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। সঙ্গে আবার জইশ-ই-মহম্মদ। এই খবর সামনে আসতেই প্রমাদ গুনছে ভূস্বর্গ। তিন জঙ্গি গোষ্ঠী মিলে কি এবার সাঙ্ঘাতিক কিছু ঘটাবে ?
এই আঁতাঁত কপালে ভাঁজ ফেলেছে ভারতের গোয়েন্দা অফিসারদের। ফিলিস্তিনি জঙ্গিগোষ্ঠী হামাসের এক মুখপাত্র খালিদ কাদ্দৌমি এদিন হাজির ছিল । তাহলে কি এবার কাশ্মীরে পাকিস্তান-সমর্থিত জিহাদি কার্যকলাপে সরাসরি মদত দেবে ফিলিস্তিনি জঙ্গিগোষ্ঠী ?
প্রতি বছর ৫ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’ পালন করে। এই উপলক্ষেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে একটি বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেছিল লস্কর ও জইশ জঙ্গিরা। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, প্রথম বার হাজির ছিল হামাসের এক শীর্ষনেতা। জইশ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহার ঘনিষ্ঠ তথা কুখ্যাত জঙ্গিনেতার ভাই তালহা সইফ, আশগর খান এবং ইলিয়াস মাসুদের মতো সন্ত্রাসীরা বৈঠকে যোগ দিয়েছিল। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির আশঙ্কা, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের এই তিন গোষ্ঠীর এক মঞ্চে আসা আসলে পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে গাজার জঙ্গিগোষ্ঠী সরাসরি যোগসূত্র স্থাপনের প্রচেষ্টা। পশ্চিম এশিয়ায় ত্রাসের রাজত্ব চালানো হামাস জঙ্গিদের সাহায্যে এবার উপত্যকার ওপর আঘাত হানার চেষ্টা করতে পারে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা, এই সমাবেশ তারই পয়লা ধাপ, এমনটাই মনে করছেন গোয়েন্দারা। এই আশঙ্কা আরও জোরদার করেছে এই অনুষ্ঠানের নাম। উল্লেখযোগ্য ভাবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে আল আকসা ফ্লাড-এর নাম। আল আকসার সঙ্গে জুড়ে আছে ২০২৩ সালে ইজরায়েলের উপর হামাস-হানার স্মৃতি। ওই ভয়ঙ্কর হামলার নাম রাখা হয়েছল, 'অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড'। এই নাম জুড়ে দেওয়ায় আরও চিন্তার বাড়াচ্ছে হামাস-লস্কর-জইস জোট। তাহলে কি হামাসের সাহায্য নিয়ে 'অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড'-এর মডেলে কাশ্মীরকে টার্গেট করে কোনও বড় ধরনের হামলা করার ছক কষছে লস্ক - জইস ? তাই এই মুহূর্তে ভূস্বর্গে অনুপ্রবেশ আটকানোই ভারত সরকারের প্রধান লক্ষ্য।
ইতিমধ্যে, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জম্মু ও কাশ্মীরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন। শাহ বলেন, নরেন্দ্র মোদি সরকারের এই মুহূর্তে লক্ষ্য, অনুপ্রবেশ বন্ধ করা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি, তাঁদের সরকারের সন্ত্রাসবিরোধী নীতি ও সেনাবাহিনীর নিরন্তর প্রচেষ্টা ভূখণ্ডে জঙ্গিগোষ্ঠীর নেটওয়ার্ক অনেক দুর্বল করে দিয়েছে।