DRDO:  ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন সংক্ষেপে ডিআরডিও সম্প্রতি লং রেঞ্জ গ্লাইড বোমা 'গৌরব'-এর পরীক্ষামূলক নিক্ষেপ সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের সময় এই 'গৌরব'কে নানা স্টেশনে বিভিন্ন কমব্যাট কনফিগারেশনে ইন্টিগ্রেট করে দেখা হয়েছে। একটি দ্বীপের উপর লক্ষ্য স্থির করা হয়েছিল, এই পরীক্ষা সফলভাবে প্রমাণ করেছে এই অস্ত্রের রেঞ্জ এবং দক্ষতা ১০০ কিমি পর্যন্ত রয়েছে। অর্থাৎ ১০০ কিমি উচ্চতা থেকে লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম এই লং রেঞ্জ গ্লাইড বম্ব 'গৌরব'।


কী কী বৈশিষ্ট্য রয়েছে 'গৌরব'-এর


'গৌরব' এই লং রেঞ্জ গ্লাইড বোমার ওজন ১ হাজার কিলোগ্রাম। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে এই বোমা নির্মাণ ও বিন্যাস করা হয়েছে রিসার্চ সেন্টার ইমারেট, আর্মানেন্ট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এস্টাব্লিশমেন্ট এবং ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ চণ্ডীপুরের যৌথ প্রচেষ্টায়। আইএনএস এবং জিপিএস তথ্য এখানে একত্রিত করা হয়েছে উচ্চমাত্রার দক্ষতাসম্পন্ন হাইব্রিড নেভিগেশন স্কিমের মাধ্যমে। ক্ষমতার কথা বলতে গেলে গৌরব বোমাটি অত্যন্ত নিখুঁতভাবে দক্ষতার সঙ্গে লং রেঞ্জের যে কোনও লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম।


বিগত ৮ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিলের মধ্যে সুখোই ৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমান থেকে এই 'গৌরব' বোমাটির পরীক্ষামূলক নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এই বোমাটি সফলভাবে ১০০ কিমির দূরত্ব থেকে লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম হয়েছে। আদানি ডিফেন্স সিস্টেমস অ্যান্ড টেকনোলজিস, ভারত ফোর্জ যৌথভাবে এই বোমা তৈরিতে সহায়তা করেছে।



'গৌরব'-এর সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণে ডিআরডিও এবং ভারতীয় বায়ুসেনাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দফতরের পক্ষ থেকে এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে জানানো হয়, ডিআরডিও লং রেঞ্জ গ্লাইড বোমা 'গৌরব'-এর সফল উৎক্ষেপণ করেছে। সুখোই যুদ্ধবিমান থেকে ৮-১০ এপ্রিলের মধ্যে এই পরীক্ষামূলক নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এই বিষয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ডিআরডিও এবং ভারতীয় বায়ুসেনাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন, এমনকী তিনি পোস্টে উল্লেখ করেছেন যে এই এই 'গৌরব' আগামী দিনে ভারতের সামরিক বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।


এই সফল পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা যায় ভারতীয় বায়ুসেনায় এই অস্ত্রের উপযোগিতা গড়ে উঠবে। আর তা ভারতের প্রতিরক্ষা বিভাগের শক্তি-সামর্থ্য বাড়াতে খুবই উপযোগী হবে। বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের সময় ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে এমন কোনও গ্লাইড বোমা ছিল না। এই অবস্থায় ইজরায়েলি স্পাইস ২০০০ বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনার মিরেজ যুদ্ধবিমান থেকে এবং জইশ-ই-মহম্মদ নামের সন্ত্রাসবাদীদের ঘাঁটি ধূলিসাৎ করে দেওয়া হয়েছিল।