চেন্নাই: তাঁরা তিনজনই এক সময় ছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের তিন স্তম্ভ। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বে খেলেছেন। সিএসকে-র হোমগ্রাউন্ড এম চিদম্বরম স্টেডিয়াম ছিল তাঁদেরও ঘরের মাঠ। এই মাঠ, বাইশ গজ, পরিবেশ, পরিস্থিতি তাঁরা চেনেন হাতের তালুর মতো। আর সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ত্রয়ী বাজিমাত করলেন চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধেই!
অজিঙ্ক রাহানে, ডোয়েন ব্র্যাভো ও মঈন আলি। তিনজনই খেলেছেন সিএসকে-তে। ব্র্যাভো তো চেন্নাই সুপার কিংসের ইতিহাসে কিংবদন্তি হয়ে রয়েছেন। শুক্রবার তিনজনই ছিলেন বিপক্ষ ডাগ আউটে। রাহানে ও মঈন সরাসরি মাঠে নেমেছিলেন। আর ডি জে ব্র্যাভো ছিলেন ডাগ আউটে। কলকাতা নাইট রাইডার্সের মেন্টর তিনি।
আর চেন্নাইয়ে খেলার সেই অভিজ্ঞতা শুক্রবারের ম্যাচের রণকৌশল তৈরিতে বিস্তর সাহায্য করেছেন, ৮ উইকেটে ধোনিদের দুরমুশ করে উঠে সাফ জানিয়ে দিলেন রাহানে। কেকেআরের অধিনায়ক ম্যাচের শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে বলেন, 'আমাদের পরিকল্পনা আগে থেকে তৈরি ছিল। আমি গত দু'বছর এখানে খেলেছি, মঈনও খেলেছে। ডিজেও (ডোয়েন ব্র্যাভো) এখানকার পরিবেশ জানে। এখানকার উইকেটটি একটু আঠালো। বল পিচে পড়ে কিছুটা থমকে আসে। কৃতিত্ব স্পিনারদের, আমাদের পরিকল্পনা আজ ভালভাবে কাজে লাগিয়েছে।'
এরপরই রাহানে বলেন, 'টুর্নামেন্টে অনেক পথ যেতে হবে, তাই আমাদের পরিকল্পনাগুলি এখনই ভাঙছি না। মঈনকে একাদশে রাখা উচিত বলে মনে হয়েছিল। আমি ভেবেছিলাম উইকেটটি গোটা ম্যাচে একইরকম থাকবে। এটি ১৭০ ওঠার মতো উইকেট। কিন্তু বোলারদের কাছ থেকে কোনও কৃতিত্ব কেড়ে নিতে পারি না। মঈন ভালো খেলেছে। কেবল একটি ম্যাচ খেলা এবং তারপরে বাদ পড়া এবং তারপরে ফিরে আসা কখনই সহজ হয় না। সানি (সুনীল নারাইন) এবং বরুণও (চক্রবর্তী) দারুণ বল করেছে। সানি শেষ ম্যাচে রান করলেও এখানে আরও শক্তিশালীভাবে ফিরে এল ছন্দে। বৈভব এবং হর্ষিতও ভাল বল করেছে। সব মিলিয়ে ভাল বোলিং পারফরম্যান্স হয়েছে আমাদের।'
এদিন রাহানে ১৭ বলে ২০ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন। নিজের ব্যাটিং নিয়ে রাহানে বলেন, 'আমি আমার ব্যাটিং উপভোগ করছি। সত্যিই গত ২-৩ বছর কঠোর পরিশ্রম করেছি।'