রাষ্ট্রপুঞ্জ: রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে ফের অস্থায়ী সদস্য পদে নির্বাচিত ভারত। এই নিয়ে আটবার অস্থায়ী সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্তি হল ভারতের।
১৯২টি বৈধ ভোটের মধ্যে ভারত পেয়েছে ১৮৪টি ভোট। অস্থায়ী সদস্যদের ২ বছরের মেয়াদে নির্বাচিত করা হয়। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পাঁচটি দেশ। আমেরিকা, রাশিয়া, চিন, ফ্রান্স ও ব্রিটেন। বাকি দশটি আসন রয়েছে অস্থায়ী সদস্য দেশগুলির জন্য।
এদিন এশীয়-প্যাসিফিক অঞ্চলের আসনটি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে নেয় ভারত। এই গোষ্ঠীর অন্তর্গত ৫৫টি দেশ বিপুলভাবে ভারতকে সমর্থন করেছে। এই গোষ্ঠীতে রয়েছে পাকিস্তান ও চিনও। ভারতকে অন্য দেশগুলি যেভাবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমর্থন করেছে, তাতে অন্য কিছু করার কোনও উপায় ছিল না এই দুই দেশের। চিন ও পাকিস্তান এদিন ভারতকে সমর্থন করেছে।
তবে, এশিয়া থেকে গণ-সমর্থন পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতলেও, জানা গিয়েছে অন্তত ৮টি দেশ ভারতকে ভোট দেয়নি। যদিও, তাতে ভারতের জয়ে তা কোনও প্রভাব ফেলেনি।
২০২১-২২ সালের জন্য এই নির্বাচন। এর আগে, ভারত সাতবার নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হয়েছে। সেগুলি ছি -- ১৯৫০-৫১, ১৯৬৭-৬৮, ১৯৭২-৭৩, ১৯৭৭-৭৮, ১৯৮৪-৮৫, ১৯৯১-৯১ ও ২০১১-১২।
ভারতের পাশাপাশি আয়ারল্যান্ড, মেক্সিকো, ও নরওয়ে নিরাপত্তা পরিষদের নির্বাচনে জয়ী হয়েছে।
এবারে নির্বাচনী প্রচারে, ভারত পঞ্চ-শীল তত্ত্বের ওপর জোর দিয়েছিল। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের পেশ করা নথি অনুযায়ী, এই তত্ত্বগুলি হল -- সম্মান, সংবাদ, সহযোগ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।
বলা বাহুল্য, নির্বাচনের ভারতের জয় নিশ্চিত বুঝে উদ্বেগ প্রকাশ করে পাকিস্তান। ভারত জিততে চলেছে বুঝে ভোটাভুটির আগেই পাকিস্তানের তরফে বলা হয়, বিষয়টি আনন্দের নয়, উদ্বেগের। যদিও, পরিস্থিতির চাপে পড়ে, ভারতকেই সমর্থন করতে হয় তাদের।