সন্ত্রাসবাদ ও চরবৃত্তির দায়ে ভারতীয় নাগরিক, প্রাক্তন নৌসেনা অফিসার কুলভূষণকে ২০১৭ সালে মৃত্যুদণ্ড দেয় পাক সেনা আদালত। এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের দ্বারস্থ হয় ভারত। এরপর আন্তর্জাতিক আদালত কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে। গত বছর জুলাইতে আন্তর্জাতিক আদালত রায় দেয়, পাকিস্তানকে অবশ্যই কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ড পর্যালোচনা করতে হবে, সাজা পুনর্বিচার করতে হবে, যত দ্রুত সম্ভব ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীদের তাঁর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দিতে হবে। কিন্তু বুধবার পাকিস্তান দাবি করে, কুলভূষণের সামনে সুযোগ থাকলেও তিনি ইসলামাবাদ হাই কোর্টে তাঁর সাজার বিরুদ্ধে আপিল করতে অস্বীকার করেছেন, বরং অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমাভিক্ষা করতে চান। তবে দিল্লি পাকিস্তানের এই দাবিকে প্রহসন বলে আখ্যা দিয়েছে, কুলভূষণ যাতে আইনি অধিকার না পান, সে জন্য তাঁকে নিগৃহীত করা হচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে কুলভূষণ মামলায় সব আইনি দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভারতীয় নাগরিকের জীবন রক্ষায় সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে, দেখা হবে, যাতে নিরাপদে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।