নয়াদিল্লি: একরাত আগে ছত্রভঙ্গ হওয়ার পর ফের ভারতে হামলার চেষ্টা পাকিস্তানের। বৃহস্পতিবার রাতে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে আর কোনও রেয়াত করল না ভারত। সরাসরি লাহৌরে আঘাত হানল ভারতীয় বায়ুসেনা। তীব্র বিস্ফোরণ শোনা গিয়েছে। এই মুহূর্তে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে লাহৌরে। সেখানে কার্যত লকডাউন পরিস্থিতি এই মুহূর্তে। এদিন সকালেই লাহৌরের এয়ার ডিফেন্স প্রযুক্তি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। ফলে বড় ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। (India Hits Lahore)
গতকাল রাতে ভারতের আকাশে পাকিস্তান হানা দিলে, সকালেই মোক্ষম জবাব দিয়েছিল ভারত। লাহৌরের রেডার প্রযুক্তিই ভেঙে দিয়েছিল। চিনের তৈরি HQ-9 ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ব্যবহার করছিল পাকিস্তান। ভারতের HARPY Kamikaze ড্রোনের সামনে তা ধোপে টেকেনি। ফলে লাহৌরের আকাশে ভারতের যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র কিছুর অস্তিত্ব টের পাওয়াই সম্ভব ছিল না পাকিস্তানের পক্ষে। ফরে তখন থেকেই প্রহর গোনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। ভারতের তরফে যদিও সতর্ক করা হয়েছিল। পাকিস্তান যদি ফের উস্কানিমূলক আচরণ না করে, তাহলে ভারতও আঘাত হানতে যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। (India-Pakistan Conflict)
কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে ফের বিভিন্ন দিক থেকে ভারতের আকাশে প্রবেশ করে একাধিক পাক যুদ্ধবিমান। আকাশেই সবক'টিকে রুখে দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা। পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানকে গুলি করে নামানোও হয়। আর পাকিস্তানেকে উচিত জবাব গিতে এর পরই লাহৌরের দিকে ধেয়ে যায় ভারত। এই মুহূর্তে লাহৌরে সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীন অবস্থায় রয়েছে পাকিস্তানি সেনার ঘাঁটি। ফলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে পাকিস্তানে।
এদিকে, পাকিস্তানও থেমে নেই। পঙ্গু হওয়া সত্ত্বেও জম্মু, পাঠানকোট, উধমপুরে হামলা চালাচ্ছে তারা। তাদের ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ঢুকে পড়েছে ভারতের আকাশে। একটি ড্রোন জম্মু বিমানবন্দরে আঘান হেনেছে। S-400 প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে যদিও একাধিক ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রকে আকাশেই রুখে দিয়েছে ভারত। পাকিস্তানের কোমর ভেঙে দিতে কোনও কসুর রাখা হচ্ছে না।
ইতিমধ্যেই পাকিস্তানি বায়ুসেনার F-16, JF-17 যুদ্ধবিমান গুলি করে নামিয়েছে ভারত। পাঠানকোটে তাদের একটি বিমান নামানো হয়েছে। এমতাবস্থায় তড়িঘড়ি পাক সেনা প্রধানকে পদ থেকে সরিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। সৈয়দ আসিম মুনিরকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে খবর। শোনা যাচ্ছে, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে জেল থকে ছাড়া হতে পারে। তবে এব্যাপারে পাক সরকারের তরফে কোনও সিলমোহর দেওয়া হয়নি।