ভারত-জাপান নৌ মহড়া নতুন কিছু নয়। কিন্তু লাদাখে ভারত-চিন অশান্তির মধ্যে এই মহড়া তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
ন্যাশনাল মেরিটাইম ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর জেনারেল ভাইস অ্যাডমিরাল প্রদীপ চৌহান বলেছেন, কৌশলগত যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য এই মহড়ার আয়োজন। তবে যুদ্ধের জন্য নয়, সিগন্যালিং সংক্রান্ত কাজের জন্য মহড়া চলে। ভাইস অ্যাডমিরাল বলেছেন, বন্ধুদের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠতা বাড়ানো দরকার। এই মহড়ায় যোগ দেয় ভারতীয় যুদ্ধ জাহাজ আইএনএস রাণা ও আইএনএস কুলুশ। জাপানিদের পক্ষ থেকে ছিল জেএস কাশিমা ও জেএস শিমায়ুকি। জাপানি দূতাবাস জানিয়েছে, গত ৩ বছরে এ নিয়ে ১৫টি এমন নৌ মহড়া হল। এর মূল লক্ষ্য ছিল, কৌশলগত এবং যোগাযোগগত প্রশিক্ষণ।
জাপানি নৌ সেনার সঙ্গে নিয়মিত মহড়া দেয় ভারতীয় নৌ সেনা। মালাবার এক্সারসাইজেসে আমেরিকাও যোগ দেয় ভারত-জাপানের সঙ্গে। এ ধরনের মহড়া বেজিংকে বুঝিয়ে দেবে, ভারতীয় সেনা চাইলেই ভারত মহাসাগরে চিনা নৌবহরের সঙ্গে তাদের বায়ু সেনার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে পারে, আর সে রকম পরিকল্পনাও তৈরি রয়েছে। তবে ভারত মহাসাগরে এখনও কোনও ক্যারিয়ার মোতায়েন করেনি চিন, ভাইস অ্যাডমিরাল জানিয়েছেন।
ডোকলাম সঙ্কটে জাপান প্রকাশ্যেই ভারতকে সমর্থন করেছিল। লাদাখের গালওয়ানে চিনা হামলায় ভারতীয় সেনাদের শহিদ হওয়ায় শোকপ্রকাশ করেছে তারা, চিনা সেনাদের প্রাণহানি নিয়ে কোনও বক্তব্য রাখেনি।