কলকাতা: বিশ্বের ১৮৫টির মত দেশে এখনও চলছে করোনার তাণ্ডব। বিজ্ঞানী-গবেষকরা প্রাণপণে চেষ্টা করছেন, যাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করোনা টিকা তৈরি হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়-অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং মডার্না ইনকর্পোরেটেড এই দৌড়ে সকলের আগে রয়েছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা যে পরীক্ষামূলক টিকা তৈরি করেছে, তাই এখনও পর্যন্ত সব থেকে বেশি পরিণত বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু-র প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন।


ব্রিটিশ এই সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা ইতিমধ্যেই মানব শরীরের ওপর এই টিকার বড় মাত্রায় প্রয়োগ শুরু করেছে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এটি তৈরি করছেন। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার নাম এজেডডি১২২২, মানব শরীরে এটির তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা চলছে। সৌম্যা স্বামীনাথন বলেছেন, যে স্টেজে এখন তারা রয়েছে, তাতে বলা যায়, তারাই সম্ভবত টিকা তৈরিতে সকলের আগে রয়েছে।

ব্রাজিল সরকার বলেছে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে ১২৭ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই করেছে তারা, যাতে স্থানীয়ভাবে এই টিকা উৎপাদন করা যায়। ৩ কোটি টিকা ব্রাজিলে তৈরি হওয়ার কথা, অর্ধেক তৈরি হবে ডিসেম্বরের মধ্যে, বাকি অর্ধেক আগামী জানুয়ারিতে। এ মাসের শুরুতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা সিইও একটি রেডিও স্টেশনে বলেন, তাঁদের টিকা ১ বছরের জন্য করোনার হাত থেকে মানুষকে সুরক্ষা দেবে।

মার্কিন ফার্ম মডার্না ইনকর্পোরেটেড টিকা তৈরির দৌড়ে এখন দ্বিতীয় পর্যায়ে। তাদের টিকার নাম এমআরএনএ-১২৭৩। ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ক্যাটালেন্ট ইনকর্পোরেটেডের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ১০ কোটি টিকা তৈরি করতে চায় তারা, কাজ শুরু হবে এ বছরের তৃতীয় ভাগ থেকে। ক্যাটালেন্ট প্যাকেজিং, লেবেলিং, স্টোরেজ ও ডিস্ট্রিবিউশনের দায়িত্ব নেবে। তারা অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের সঙ্গেও চুক্তিবদ্ধ।

ভারতে দেশীয় সংস্থা হেটেরো দেশের সব জায়গায় অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ রেমডেসিভিরের জেনেরিক ভার্সন পৌঁছনো শুরু করেছে। ওষুধটি বিক্রি হচ্ছে কোভিফোর নামে, ভায়াল প্রতি দান ৫,৪০০ টাকা। করোনা সংক্রমণের চিকিৎসায় হাসপাতালগুলিতে পাওয়া যাবে এটি।