ভারতের হাইপারসনিক মিসাইল: অপারেশন সিঁদুর-এর পর ভারতীয় সেনাদের শক্তি দেখেছে গোটা বিশ্ব। এরই মধ্যে যদিও জারি রয়েছে পাকিস্তান এবং চিনাদের চোখ রাঙানি। এরই মধ্যে এক্সটেন্ডেড ট্র্যাজেক্টরি - লং ডিউরেশন হাইপারসনিক ক্রুজ মিসাইল (ET-LDHCM) পরীক্ষা করতে চলেছে। ET-LDHCM অর্থাৎ এক্সটেন্ডেড ট্র্যাজেক্টরি - লং ডিউরেশন হাইপারসনিক ক্রুজ মিসাইল হল ভারতের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে উন্নত হাইপারসনিক মিসাইল প্রকল্প।
এটি প্রজেক্ট বিষ্ণু-এর একটি অংশ এবং DRDO সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটি তৈরি করেছে। এই মিসাইলটি শব্দের গতির চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি গতিতে উড়তে পারে (ম্যাক 8 বা ১১,০০০ কিমি/ঘন্টা) এবং ১৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি। এটি কয়েক মিনিটের মধ্যে শত্রুর গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে পারে। এই মিসাইল ভারতের সামরিক শক্তিকে শক্তিশালী করবে।
ET-LDHCM ক্ষেপণাস্ত্রটি ১ সেকেন্ডে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। এর গতি এত বেশি যে শত্রু রাডার এটি সনাক্ত করতে বা আটকাতে পারে না। ET-LDHCM এর পরিসীমা ১,৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি, যা এটিকে সহজেই পাকিস্তান এবং চিনের সামরিক ঘাঁটিতে পৌঁছতে সাহায্য করে।
শত্রুর জন্য কতটা বিপজ্জনক?
এই ক্ষেপণাস্ত্রের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল এটি দ্রুত দিক পরিবর্তন করতে পারে। এর মানে হল এটি ধ্বংস করতে আসা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বোকা বানাতে পারে। এছাড়াও, এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি এত দ্রুত যে তারা শত্রুর রাডারকেও ফাঁকি দেয়। তাদের লক্ষ্য করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।
এই উন্নত ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ম্যাক ৮ (শব্দের গতির আট গুণ) গতি এবং ১,৫০০ কিলোমিটারের আঘাত হানতে সক্ষম বলে ডিজাইন করা হচ্ছে। প্রতিরক্ষা সূত্রের মতে, ব্রহ্মোস-২ এর যৌথ উন্নয়নের জন্য ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে আবার উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা শুরু হতে চলেছে। ২০২৪ সালের নভেম্বরে ওড়িশার উপকূলে এর প্রথম সফল পরীক্ষা করা হয়েছিল। পরবর্তী পরীক্ষা শীঘ্রই হবে।
কিন্তু বিশ্বে উন্নত হাইপারসনিক অস্ত্রের প্রতি বাড়তে থাকা আগ্রহ এবং প্রতিযোগিতা এই প্রকল্পকে নতুন প্রাণ দিয়েছে, উভয় দেশ তাদের কৌশলগত প্রতিরক্ষা অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য সহযোগিতা বৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।