পাকিস্তানকে জোরদার জবাব। 'নিজের দেশের মানুষের উপরেই বোমা ফেলছে', মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের অধিবেশনে ঠিক এই ভাষাতেই পাকিস্তানকে বিঁধলেন ভারতের প্রতিনিধি শিতিজ ত্যাগী। এমনকী তিনি এই অভিযোগও জানান যে, নয়া দিল্লির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে এই ফোরামের (রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল) অপব্যবহার করছে। UNHRC-র অধিবেশনে বক্তব্য রাখার সময় ২০১২ ব্যাচের IFSC অফিসার ত্যাগী বলেন, "এই পদ্ধতির বিপরীত একটি প্রতিনিধিদল ভারতের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন এবং উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে এই ফোরামের অপব্যবহার অব্যাহত রেখেছে।" 

Continues below advertisement

তাঁর সংযোজন, "আমাদের ভূখণ্ডের প্রতি লোভ না করে, তাদের অবৈধ দখলদারিত্বে থাকা ভারতীয় ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়া উচিত এবং লাইফ-সাপোর্টে থাকা অর্থনীতি উদ্ধারের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত, ওদের রাজনীতি সামরিক আধিপত্যে বিধ্বস্ত এবং নিপীড়নের জেরে কলঙ্কিত মানবাধিকার রেকর্ড উদ্ধারের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত - সম্ভবত তখন তারা সন্ত্রাসবাদ রফতানি, জাতিসংঘ-নিষিদ্ধ জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া এবং তাদের নিজস্ব লোকদের উপর বোমা হামলা চালানো থেকে নিষ্কৃতি পাবে।" 

দিনদুয়েক আগে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে এয়ারস্ট্রাইক করেছে পাকিস্তানি বায়ুসেনা। এর জেরে মহিলা ও শিশু-সহ অন্তত ৩০ জনের মৃত্যুর খবর সামনে আসে। গত সোমবার ভোররাত ২টো নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান তিরাহ উপত্যকার মাতরে দারা গ্রামে আটটি LS-6 বোমা ফেলে, যার ফলে এত সংখ্যক প্রাণহানি ঘটেছে। মৃতরা প্রত্যেকেই সাধারণ নাগরিক। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, ঘটনায় অনেকে জখম হয়েছেন। ঘটনাস্থলের ভয়ঙ্কর সব ছবি ও ভিডিও সামনে আসে। যেখানে শিশুদের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। উদ্ধারকারী দল ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে মৃতদেহগুলি বের করার কাজ চালায়। খাইবার পাখতুনখোয়ায় অতীতেও অনেক সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়েছে, যার জেরে এই অঞ্চল থেকে অনেক সাধারণ নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।

Continues below advertisement

পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (PICSS) নামে একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, এই বছরের জানুয়ারিতে পাকিস্তানে জঙ্গি হামলার সংখ্যা বেড়েছে - যা আগের মাসের তুলনায় ৪২ শতাংশ বেশি। তথ্য থেকে জানা গেছে যে, দেশজুড়ে কমপক্ষে ৭৪টি জঙ্গি হামলা হয়েছে, যার ফলে ৯০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। খাইবার পাখতুনখোয়া সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশ হিসেবে রয়েছে, তার পরেই রয়েছে বালুচিস্তান।

চলতি মাসেই গোড়ার দিকে রাজনৈতিক সভা চলাকালীন ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে পাকিস্তানে। নিহত হন কমপক্ষে ১৪। বিস্ফোরণে আহতও হন অনেকে। একটি স্টেডিয়ামের পার্কিং লটে সভা চলছিল। সেই সময়ই তীব্র বিস্ফোরণ ঘটে বলে খবর। সেখানে পাক সরকার বিরোধী বালোচিস্তান ন্যাশনাল পার্টির (BNP) অনেকে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়। (Balochistan Terror Attacks)