নয়া দিল্লি: মাঝরাতে পাকিস্তান আর পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পরপর মিসাইল অ্যাটাক। চোখের নিমেষে একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস। নিখুঁত পরিকল্পনা আর অব্য়র্থ লক্ষ্যভেদে মাত্র ২৫ মিনিটে অপারেশন শেষ। মঙ্গলবার মাঝরাতে পাকিস্তানে স্ট্রাইকের কথা জানিয়ে প্রেস বিবৃতি দেয় প্রতিরক্ষামন্ত্রক। এরপরই সামনে আসতে শুরু করে একের পর এক ভিডিও। আর এবার লক্ষ্য স্থির করে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংসের প্রমাণ দিল ভারতীয় সেনা। 

বাহাওয়ালপুরে জইশের সদর দফতর, যেখানে জঙ্গিরা থাকত, এর সঙ্গে রয়েছে জইশ পরিচালিত মাদ্রাসা এবং কমান্ড সেন্টার, যেখানে জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের পরিবার থাকত। আশেপাশে আরও বাড়ি রয়েছে। কিন্তু সুনির্দিষ্টভাবে জইশের হেড কোয়ার্টারেই হামলা চালানো হয়েছে। 

একইভাবে মুরিদকেতে লস্করের সদর দফতর। স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ভারতীয় সেনার হামলায় জঙ্গিদের কমান্ড সেন্টার গুঁড়িয়ে গেছে। সূত্রের খবর, বাহাওয়ালপুর ও মুরিদকেতে জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলার ঘটনায় ১১০ জন নিহত হয়েছে। যার মধ্যে মাসুদ আজহারের পরিবারের ১৪ জন রয়েছে। জইশ প্রধানের ভাই ও ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি রউফ আসগর গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। 

শুধু মুখের কথা নয়, হামলার আগে এবং পরের মুহূর্তের স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করা হয়েছে ২ জায়গার। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, লস্কর-ই-তৈবা ও জইশ-ই-মহম্মদের সদর দফতর ধ্বংস করতে কীভাবে প্রিসাইজ স্ট্রাইক চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। 

তবে ভারত যখন বেছে বেছে শুধু জঙ্গিদের খতম করল, একজন নিরীহ পাকিস্তানি নাগরিকের গায়েও আঘাত লাগতে দিল না, তখনও তার প্রতিশোধে সেই নিরীহ ভারতীয় নাগরিকদেরই টার্গেট করল পাক সেনাবাহিনী। নিয়ন্ত্রণরেখায় পাক সেনাবাহিনীর গুলি-মর্টারে প্রাণ গেল ২ শিশু-সহ ১৫ জন নিরীহ ভারতীয়র। ভারতের পাল্টা জবাবে পাকিস্তানের ১০ জন সেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। 

এদিকে, পাকিস্তানের মাটিতে 'অপারেশন সিঁদুর' চালানো নিয়ে, বহু দেশের সমর্থন পেল ভারত। আত্মরক্ষার পূর্ণ অধিকার রয়েছে ভারতের। জানাল ইজরায়েল। কাশ্মীরে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছে ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন, কাতার-সহ একাধিক দেশ। পাকিস্তানের বন্ধু হলেও, সব ধরনের সন্ত্রাসের বিরোধিতা করেছে চিন। আশা করি দ্রুত লড়াই শেষ হবে, প্রতিক্রিয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের।