নয়া দিল্লি: পহেলগাঁও হামলায় পাকিস্তানকে জবাব দিতে তৈরি ভারত। অল আউট অ্যাকশনে নেমেছে সেনাবাহিনী। এরই মধ্যে পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা নিয়ে গোয়েন্দাদের হাতে নতুন তথ্য।
সূত্রের খবর, মার্চের গোড়াতেই গুলমার্গের জঙ্গলে ঘাঁটি গাড়ার পরিকল্পনা করেছিল দুই পাক জঙ্গি মুসা ও আলি। কিন্তু ২০২৪-এর অক্টোবরে সেনা কনভয়ের ওপর হামলার পর নিরাপত্তার কড়াকড়ি থাকায় পরিকল্পনা বাতিল হয়।
এরপরই দক্ষিণ কাশ্মীরকে বেছে নেয় পাক জঙ্গিরা। অনন্তনাগের বিজবেহরার বাসিন্দা লস্কর জঙ্গি আদিল ঠোকর ওরফে আদিল গুরির সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা ট্যুরিস্ট স্পটে হামলার ছক কষে। হাপতনার এলাকার কোকরনাগ জঙ্গলে ঘাঁটি গাড়ে, সেখানে অস্থায়ী ক্যাম্প বানিয়ে ফেলে। বেশ কয়েকবার নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ধরা পড়তে গিয়েও বেঁচে যায় তারা। এপ্রিলের মাঝামাঝি আদিল এবং আরেক স্থানীয় জঙ্গি, ২ জনে মিলে পহেলগাঁও যায়। সেখানে প্রায় সমস্ত ট্যুরিস্ট স্পট রেকি করে। এরপর সব দিক খতিয়ে দেখে বৈসরন ভ্যালিতে পর্যটকদের ওপর হামলার ছক।
এদিকে, কুপওয়াড়া, উরির সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলি থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে বলা হয়েছে। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর লাগাতার গুলিবর্ষণ করছে পাক সেনা। যোগ্য জবাব দিচ্ছে ভারতও। জামাত-যোগের প্রমাণ পেলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে মাইকে সতর্ক করছে শ্রীনগর পুলিশ। পহেলগাঁও হামলার পর ৯ দিন পার। এখনও অধরা জঙ্গিরা। হামলাকারীদের খোঁজে কাশ্মীরজুড়ে চলছে চিরুনি তল্লাশি। তদন্ত চালাচ্ছে NIA. মাউন্টেন বাইক নিয়ে উপত্যকার জঙ্গলগুলিতে অভিযান চালানো হচ্ছে। চপার এবং ড্রোন উড়িয়েও চলছে নজরদারি।
তবে এবার পহেলগাঁও হামলায় পাকিস্তানকে জবাব দিতে তৈরি ভারত. প্রধানমন্ত্রীর পূর্ণ স্বাধীনতা, অল আউট অ্যাকশনে সেনাবাহিনী। রাজস্থানে সেনার মহড়া, পাক সীমান্তের কাছে নামল প্যারা-SF কমান্ডো। থর মরুভূমিতে নামল ট্যাঙ্ক, আরব সাগরে মোতায়েন INS বিক্রান্ত। আকাশপথে রাফাল, সুখোই, মিরাজ ফাইটার প্লেনের শক্তি প্রদর্শন ।
নয়াদিল্লির তৎপরতায় যে ঘুম উড়েছে ইসলামাবাদের। মাঝরাতে তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক করেন পাকিস্তানের তথ্য়মন্ত্রী। আমরা বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা-তথ্য পেয়েছি যে, ভারত আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে সামরিক পদক্ষেপ করার পরিকল্পনা করছে। ভারত যদি এমন কোনও পদক্ষেপ করে, তবে পূর্ণ শক্তি নিয়ে তার জবাব দেওয়া হবে। মন্তব্য পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার।