নয়া দিল্লি: সংঘর্ষ বিরতির পরও কয়েকদিন ধরে পাকিস্তানের দিক থেকে লাগাতার গোলাগুলি বর্ষণ হয়েছে জম্মু কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা বা আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগোয়া এলাকায়। BSF-এর আধিকারিক- সহ প্রাণ গেছে নিরীহ নাগরিকদের। জম্মুর আর এস পুরাতে সেই সময় চলছিল প্রবল গুলিবর্ষণ। পাকিস্তানের গোলায় মৃত্যু হয়েছে এক বিএসএফ কনস্টেবল দীপক চিমনগাখামের।
তবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত জঙ্গিদের নিকেশ করার লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি, জানিয়েছেন বিএসএফ-এর উচ্চপদস্থ অফিসাররা। বিএসএফের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি) আইডি সিং ইম্ফলে সাংবাদিকদের বলেন, "দীপক বিএসএফের একজন সাহসী সেনা ছিলেন। তিনি সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন। তিন-চার দিন ধরে চলা এই সংঘর্ষের সময়, তিনি একটি পাকিস্তানি পোস্ট ধ্বংস করতে বিশাল অবদান রেখেছিলেন। দুর্ভাগ্যবশত, যখন তিনি একটি লক্ষ্যবস্তু খুঁজছিলেন, তখন একটি শেল তার কাছে পড়ে। গুরুতর আহত হওয়ার পর তিনি দুই দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। দীপক দেশের জন্য সবচেয়ে বড় ত্যাগ স্বীকার করেছেন। দেশ তাঁকে কখনও ভুলবে না'।
বিএসএফের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি) এও বলেন, "বিএসএফ পরিবারের পাশে আছে। আমরা তাদের কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে দেব না। সহানুভূতির ভিত্তিতে নিয়োগের ব্যবস্থা আছে। পরিবারের কেউ যোগ্য হলে, বিএসএফ সহানুভূতির ভিত্তিতে সেই ব্যক্তিকে নিয়োগ করবে"।
বিএসএফ জম্মুর তরফে এক্স হ্যান্ডেলে জানান হয়েছে, ১০ মে জম্মুর আর এস পুরাতে ভারত-পাক গুলির লড়াইয়ে বিএসএফ এর কনস্টেবল দীপক চিমনগাখাম গুরুতর আহত হয়েছিলেন। ১১ মে তাঁর মৃত্যু হয়। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ইম্ফল বিমানবন্দরে তার মরদেহ আনার পর বিএসএফ কনস্টেবলকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এদিকে, দীপকের ছোট ভাই সি নাওবা সিং জাতীয় পতাকায় মোড়ানো দাদার কফিন জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। পাশে বাবা বনবিহারী তার ছেলের একটি ফ্রেম করা ছবি ধরে দাঁড়িয়েই ছিলেন। কান্নায় ধরা শোকাতুর পিতা বলে চলেন, আমি আমার ছেলের জন্য অত্যন্ত গর্বিত।