নয়াদিল্লি: ভারতকে অশান্ত করতে চেয়ে বালুচিস্তান নিয়েই বিপাকে পাকিস্তান! বালুচিস্তানের বোলানে পাক সেনার কনভয়ে ফের শক্তিশালী IED বিস্ফোরণ। অফিসার-সহ ৬ পাক সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে খবর !

আরও পড়ুন, কলকাতা থেকে কোচবিহার-কাল রাজ্যের ২৬ জায়গায় মক ড্রিল

কাশ্মীরের ডাল লেক থেকে লখনউ, মুম্বই- দেশজুড়ে ২৪৪ জেলায় যুদ্ধকালীন পরিস্থিতর মহড়া-প্রস্তুতি। পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের আবহে নাগরিক সুরক্ষায় আগামীকাল গোটা দেশে মক ড্রিলের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর এই প্রথম দেশজুড়ে এমন অসামরিক মহড়া হতে চলেছে। ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১। পাকিস্তান শুরু করল 'অপারেশন চেঙ্গিজ খান'। পাক সেনাবাহিনী হামলা করল ভারতের বিভিন্ন সেনাঘাঁটিতে।

অমৃতসর, জোধপুর, অম্বালা, আগরা, শ্রীনগর - সহ মোট ১১ জায়গায়। ওই দিন সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী রেডিওতে পাক হামলার কথা ঘোষণা করলেন। পাল্টা আঘাত হানতে শুরু করল ভারতীয় সেনা। শুরু হল ভারত-পাকিস্তান-যুদ্ধ। ১৯৭১ সালের পর ২০২৫,৫৪ বছর পর বেজে উঠল সাইরেন। সাইরেনে ফিরল সেই ১৯৭১-এর যুদ্ধপর্বের স্মৃতি!একাত্তরের যুদ্ধের পর আবার বাজল সাইরেন। ১৯৭১ সালের ভারত-পাক যুদ্ধের পর প্রথমবার দেশ জুড়ে মহড়া হবে বুধবার। পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধের আবহে নাগরিক সুরক্ষায় দেশজুড়ে মক ড্রিলের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে ২৪৪টি জেলায় এই মক ড্রিল হবে।বিমান হামলার সতর্কতা হিসাবে সাইরেন ব্যবস্থাকে সক্রিয় করা হবে, জরুরি পরিস্থিতিতে কীভাবে দ্রুত উদ্ধারকাজ চালানো হবে, তার মহড়া চলবে।রাতে হামলার ক্ষেত্রে হঠাৎ করে সমস্ত আলো নিভিয়ে দিয়ে ‘ক্র্যাশ ব্ল্যাকআউট’ করে শত্রু বিমানবাহিনীকে বিভ্রান্ত করে দেওয়া যায়, তারও মহড়া সেরে রাখতে বলা হয়েছে।

দেশজুড়ে তারই প্রস্তুতি শুরু হয় মঙ্গলবার। BSF প্রাক্তন ডিজি সমীর মিত্র বলেন, এয়ার স্ট্রাইকত হলে কী হবে। অন্ধকার করে রাখা কেন। পাকিস্তানের কাছে ম্যাপ আছে, অন্ধকার করে রাখতে কতটা লাভ হবে তা নিয়ে বলেছেন, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কী করা যাবে, আর কী করা যাবে না? তার জন্য়ই এই মহড়া। জম্মুর ছাত্রী বলেন, আমাদের পুরো বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, আমরা কীভাবে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারি, কীভাবে অন্যকে রক্ষা করতে পারি। আমরা যদি স্কুলে থাকিি, বাড়িতে বা বাইরে থাকি, কীভাবে আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিতে পারি, তা বোঝানো হয়েছে। 

স্কুল হোক বা বাড়ি, কর্মক্ষেত্র হোক বা খোলা যায়গা- যে যেখানেই থাকুন না কেন, যুদ্ধের সাইরেন বেজে উঠলে কী করতে হবে, তারই প্রস্তুতি চলল দিনভর।  বিভিন্ন সেতু, কারখানা, গুরুত্বপূর্ব ভবন, রেল স্টেশন, বিমানবন্দরকে বাঁচাতে প্রস্তুতি। শ্রীনগরের ডাল লেকে হল মক ড্রিল। ১৯৭১ সালের যুদ্ধে পাকিস্তানকে দু টুকরো করে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী! ৯৩ হাজার পাক সেনা ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল! এবার কী হবে?১৯৭১ সালের মতোই মোক্ষম ও নির্ণায়ক শিক্ষা কি ২০২৫ সালে পাকিস্তানকে দেওয়া হবে? উঠেছে প্রশ্ন।