নয়াদিল্লি: করোনা আবহে নতুন আতঙ্কের নাম মিউকরমাইকোসিস। সারা দেশে প্রায় সংক্রমণ ১২ হাজার ছুঁইছুঁই। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ৭১৭। পাশাপাশি কেন্দ্র জানিয়েছে, ২৯ হাজারের বেশি অ্যাম্ফোটিরিসিন-বি বরাদ্দ করা হয়েছে।
কেন্দ্র জানিয়েছে ২৯ হাজার ২৫০ অ্যাম্ফোটিরিসিন-বি বরাদ্দ করা হয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জন্য। সারা দেশে চিকিৎসাধীন ১১ হাজার ৭১৭ জন মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত রোগীর জন্য এই ওষুধ প্রয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, মিউকোরমাইকোসিস আসলে ছত্রাকজনিত রোগ। যাঁদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস রয়েছে, HIV বা ক্যানসারের মতো রোগে আক্রান্ত, নিয়মিত স্টেরয়েড নেন বা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন থাকার কারণে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়েছে তাঁরাই মিউকোরমাইকোসিসে আক্রান্ত হতে পারেন। সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এই রোগের প্রাদুর্ভাব হচ্ছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় এমনিতেই বেসামাল দেশ। রোজ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। আর এরইমধ্যে ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে ছত্রাকজনিত রোগ ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস। এর আগে গত ২৪ মে ১৯ হাজার ৪২০ এবং ২১ মে ২৩ হাজার ৬৮০ অ্যাম্ফোটিরিসিন-বি বরাদ্দ করা হয়েছিল। গত কয়েকদিনে দেখা গিয়েছেন যাঁরা করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন তাঁরাই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে গুজরাতে ৭ হাজার ২১০, মহারাষ্ট্রে ৬ হাজার ৯৮০ হাজার অ্যামফোটেরিসিন- বি বরাদ্দ করা হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশে ১ হাজার ৯৩০, মধ্য প্রদেশে ১ হাজার ৯১০, তেলেঙ্গানাতে ১ হাজার ৮৯০। উত্তরপ্রদেশের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১ হাজার ৭৮০। রাজস্থানের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১ হাজার ২৫০। রাজধানীতে দিল্লিতে দেওয়া হবে ৩০০ অ্যাম্ফোটিরিসিন-বি ।
২৫ মে রাত পর্যন্ত পরিসংখ্যান বলছে, মিউকরমাইকোসিসে দেশের মধ্যে গুজরাতে আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮৫৯ জন। এরপরেই স্থান মহারাষ্ট্রের। আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৭৭০ জন। অন্ধ্রপ্রদেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬৮ জন, মধ্যপ্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫২, তেলেঙ্গানায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪৪ জন, ৭০১ জন আক্রান্ত হয়েছেন উত্তরপ্রদেশে।