নয়া দিল্লি : ২০২২ সালে ভারতে GDP ৩.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে G20-ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে অন্যতম গতিশীল অর্থনীতিতে পরিণত হবে ভারত। তবে, সংস্কার এবং বিভিন্ন রকমের নীতিগত বাধা বিনিয়োগে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এমনটাই বলছে রেটিং এজেন্সি Moody's Investors Service। এক গবেষণা অনুযায়ী, আমেরিকার এই এজেন্সির বক্তব্য, আমলাতন্ত্র লাইসেন্সের অনুমোদন দেওয়া এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠার মতো কাজে গতি শ্লথ করে দিতে পারে।
Moody's Investors Service-এর বক্তব্য, সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভারতের আমলাতন্ত্র বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের (FDI) পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে যখন ইন্দোনেশিয়া এবং ভিয়েতনামের মতো এই অঞ্চলের অন্যান্য উন্নয়নশীল অর্থনীতির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
দিন দিন বাড়ছে নিউক্লিয়ার পরিবারের (Nuclear Families) সংখ্যা, বৃহৎ সংখ্যক শিক্ষিত মানুষ এবং নগরায়নের মতো বিষয়গুলি সিমেন্ট এবং নতুন গাড়ির চাহিদা বাড়িয়ে তুলবে। সরকারি পরিকাঠামো (Government Infrastructure) ব্যয় ইস্পাত এবং সিমেন্টকে ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করবে। যেখানে ভারতে পুনর্নবীকরণযোগ্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়বে।
Moody's Investors Service বলছে, পরিকাঠামো এবং উৎপাদন ক্ষেত্রে চাহিদা ৩ থেকে ১২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে। ২০৩০ সাল নাগাদ ভারতের সক্ষমতা চিনের পিছনে থাকলেও, ভাল অবস্থায় থাকবে। তাদের সংযোজন, অর্থনীতির শক্তিশালী সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও, সীমিত অর্থনৈতিক উদারীকরণ বা ধীর নীতির কারণে ভারতে পরিকাঠামো ও উৎপাদন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের গতি ধীর হতে পারে ।
প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাপী মন্দার আবহের প্রভাব পড়তে পারে ভারতে। চলতি অর্থবর্ষে কমতে পারে ভারতের GDP। সম্প্রতি অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের এই ধারণায় সিলমোহর দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড (IMF)।
আন্তর্জাতিক আর্থিক তহবিলের (IMF) তরফে বলা হয়েছে, ২০২৩-'২৪ অর্ষবর্ষে ভারতের ডিজিপি কমতে পারে। সংস্থার জানুয়ারির পূর্বাভাসে এই আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬.১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫.৯ শতাংশ করেছে IMF। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের গোড়ার দিকে বিশ্বের অর্থনীতিতে একটি পরিবর্তন এসেছে। সেই অনুযায়ী, বিশ্বের অর্থনীতি কিছুটা হলেও আগের থেকে ভাল জায়গায় এসেছে। মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস ও বৃদ্ধি স্থিতিশীল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বের তাবড় অর্থনীতি লক্ষ্য পূরণের বিষয়ে আশা রাখছে। এর আগে টানা মুদ্রাস্ফীতি ও সাম্প্রতিক আর্থিক খাতে অস্থিরতা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। এটা তারই প্রভাব।