নয়া দিল্লি: এবার ভারতের আকাশসীমায় পাকিস্তানের বাণিজ্যিক ও সামরিক বিমান চলাচলে জারি করা হল নিষেধাজ্ঞা। পহেলগাঁও হামলার প্রেক্ষাপটে কড়া পদক্ষেপ করল নয়াদিল্লি। পাকিস্তানের ওপর আরও এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল ভারত। এবার পাকিস্তানি বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল নয়াদিল্লি। অর্থাৎ ভারতের আকাশসীমায় চলাচল করতে পারবে না পাকিস্তানের কোনও বিমান।
পহেলগাঁও হামলার প্রেক্ষাপটে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। ভারতের বিরুদ্ধে আগে একই পদক্ষেপ করেছে পাকিস্তান। এ বার পাল্টা পদক্ষেপ করল নয়াদিল্লিও। কেন্দ্রের তরফে বুধবার একটি ‘নোটিস টু এয়ার মিশন’ (এনওটিএএম) জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে পাকিস্তানে নথিভুক্ত বিমান বা পাকিস্তান দ্বারা পরিচালিত বিমান ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। সামরিক বিমানের ক্ষেত্রেও এই নির্দেশিকা প্রযোজ্য হবে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারত এখন আনুষ্ঠানিকভাবে তার আকাশসীমা সীমিত করার ফলে, পাকিস্তানি বিমান সংস্থাগুলিকে কুয়ালালামপুরের মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য চিন বা শ্রীলঙ্কার মতো দেশগুলির মধ্য দিয়ে দীর্ঘ রুট নিতে বাধ্য করা হবে।
এদিকে এরই মধ্যে পহেলগাঁও হামলা নিয়ে বড়সড় তথ্য উঠে এল তদন্তকারীদের হাতে। জম্মু কাশ্মীর পুলিশ সূত্রের খবর জঙ্গিরা সবার প্রথমে রেকির জন্য আরু উপত্যকায় গেছিল। কিন্তু সেখানে নিরাপত্তাবাহিনীর ক্যাম্প থাকায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা বাতিল করে। এরপর তারা একটি অ্য়ামিউজমেন্ট পার্কেও রেকি করে। কিন্তু সেখানে ভিড় কম থাকায় এই জায়গাও হামলা চালানোর জন্য তাদের পছন্দ হয়নি।
এরপর বেতাব উপত্যকায় যায় তারা। কিন্তু অমরনাথ যাত্রার রুটে এটি পড়ায় সেখানে নিরাপত্তার কড়া বন্দোবস্ত ছিল। তাই এটিও বাদ চলে যায়। শেষ অবধি বৈসরণ পৌঁছয় জঙ্গিরা এবং সবদিক খতিয়ে দেখে হামলার জন্য এটিকেই বেছে নেয়।
হামলার ৮দিন পর এখনও অবধি জঙ্গিদের ধরতে পারেনি নিরাপত্তাবাহিনী। সূত্রের খবর, এর মধ্যে দুবার জঙ্গিদের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছিল তারা। কোকরনাগ ও দুরুর জঙ্গলে জঙ্গিদের দেখে জঙ্গলের একাংশে নিরাপত্তা বাহিনী আগুনও ধরিয়ে দেয় কিন্তু তারপরও জঙ্গিরা বেরিয়ে আসেনি। উদ্বেগের বিষয় হল, তল্লাশি অভিযান চলাকালীন এখনও অবধি ২ জন জঙ্গিকেই দেখতে পেয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী।