নয়াদিল্লি: সন্ত্রাস ও আলোচনা কখনওই একসঙ্গে চলতে পারে না - বারবার পাকিস্তানকে এই বার্তা দিয়ে এসেছে ভারত। পুলওয়ামা জঙ্গি হানা, বালাকোট থেকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ইত্যাদি নানা ইস্যু নিয়ে দুই দেশের মধ্যে তিক্ততা উঠেছে চরমে। এই পরিস্থিতিতে রাজধানীতে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন সম্মেলনে ইমরান খানকে আমন্ত্রণ জানাতে চলেছে ভারত। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার আজ এই কথা সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন।
এ বছর এসসিও সম্মেলনের আয়োজক দেশ ভারত। রাজধানী নয়াদিল্লিতেই অনুষ্ঠিত হবে এই সম্মেলন। রবীশ কুমার জানান, রীতি মেনেই, এসসিও-র ৮ সদস্য দেশ ও ৪ পর্যবেক্ষক দেশের কাছে আমন্ত্রণ যাবে।
আট সদস্যের সংগঠন এসসিও-র নেতৃত্বে চিন। ২০০১ সালে এই অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করে চিন, কিরগিজস্তান, কাজাকস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান ও রাশিয়া। ভারত ও পাকিস্তানকে ২০১৭ সালে এসসিও-তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সম্মেলনের প্রথা মেনে এই সব দেশের প্রতিনিধিদেরই আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন রবীশ কুমার।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে, ‘বন্ধু রাষ্ট্র’  চিনের সাহায্যে জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুটি উত্থাপন করার জন্য পাকিস্তানের নিন্দা করে বিদেশমন্ত্রক। কিন্তু সেখানে অন্য দেশগুলি জানিয়ে দিয়েছে, এটা সেই বিষয়ে আলোচনা করার জায়গা নয়, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার বিষয়; সাংবাদিক বৈঠকে বলেন রবীশ কুমার।
গত অগাস্টে জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকে এই নিয়ে তিনবার চিন এই বিষয়টি নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপন করতে চাইল।
কিন্তু প্রশ্ন হল, ভারতের আমন্ত্রণ রক্ষা করতে এসসিও সম্মেলনে পাক প্রধানমন্ত্রী কি আসবেন? একের পর এক ঘটনায় ভারত-পাক সম্পর্ক যে তিক্ততায় পৌঁছেছে, তাতে ইমরানের ভারত সফর নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন থেকেই যায়।