চিন থেকে সরবরাহের জন্য ভারত কয়েক লক্ষ টেস্টিং কিটের পাশাপাশি ১৫ মিলিয়নের ওপর পার্সনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট বা পিপিই গিয়ারের অর্ডার পাঠিয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন মিসরি। চলতি সপ্তাহের শুরুতে তিনি বলেছিলেন যে, বাস্তবসম্মত দামে ওই সামগ্রী মসৃণভাবে ভারতের হাতে যদি আসে, সেটাই হবে চিন-ভারত সম্পর্কের সম্ভাব্য সবচেয়ে শুভ সংকেত। আগামী কয়েকটি সপ্তাহে ভারতের হাতে চিন থেকে আরও ২০-৩০ লক্ষ কিট আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাঝে চিনে করোনাভাইরাসের ভয়াবহ প্রকোপে কলকারাখানা বন্ধ ছিল। উত্পাদন স্তব্ধ ছিল। ফের কলকারখানা খোলায় উত্পাদন প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। গত ডিসেম্বরে চিনে ছড়াতে শুরু করে এই অতিমারী। দুমাস করোনা সংক্রমণের সঙ্গে মোকাবিলা পর্বের শেষে চিন ভারত সমেত বাকি দুনিয়াকে মেডিকেল সামগ্রী, বিশেষত ভেন্টিলেটর ও কোভিড ১৯ রোগীদের চিকিত্সায় যুক্ত ডাক্তার-নার্সদের ব্যবহারের পিপিই রপ্তানি করে আয়ের রাস্তা খুঁজছে। ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের মাত্রা ক্রমশ বাড়ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে সংক্রমিতের সংখ্যা ১২ হাজার ছাড়িয়েছে , মৃত ৪১৪।
এই প্রেক্ষাপটে মিসরি জানান, ভারতের এই অবস্থায় চাই পিপিই, মাস্ক, কিট, গ্লোভস, ভেন্টিলেটরের মতো জরুরি মেডিকেল সামগ্রী। চিন খুবই বিরাট পরিমাণে এইসব পণ্য বানায়। চিন থেকে ১৫ মিলিয়ন এমন সামগ্রী ভারতে সরবরাহের বিপুল তোড়জোড় চলছে বলে জানান তিনি।