নয়াদিল্লি: ক্ষয়রোগ, এই নামেই একসময় আতঙ্ক ছড়াত টিবি। ভারতে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা নেহাত কম নয়। টিবি রুখতে বহুদিন ধরেই সরকারি ও বেসরকারি স্তরে টিবি রুখতে কাজ হচ্ছে। এবার ভারতের টিবির পরিস্থিতি নিয়ে অনেকটাই আশার কথা শোনা গেল। 


STOP TB Partnership-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর Dr Lucica Ditiu বলেছেন যে তিনি নিশ্চিত ভারত ২০২৫ সালের মধ্যে টিবিমুক্ত হতে পারবে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথা জানিয়েছেন। 


ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, 'আমি মনে করি আর্থিক সাহায্য আসবে এবং টিবিমুক্ত করার নানা পদক্ষেপ প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে তা সাহায্য করবে।' এরই সঙ্গে টিবি হঠানোর জন্য যা যা পদক্ষেপ করা হচ্ছে তার বিকেন্দ্রীকরণের পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি।  


তিনি বলেছেন, 'আমি মনে করি টিবি দূর করার জন্য যা যা পদক্ষেপ করা হচ্ছে তার বিকেন্দ্রীকরণ প্রয়োজন। যতটা বেশি সম্ভব টিবি আক্রান্তের কাছে পৌঁছে যাওয়া উচিত। ছোট ছোট গোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে যেতে হবে। গ্রাম-শহর সর্বত্র পৌঁছে যেতে হবে। এভাবেই তৃণমূল স্তরে পৌঁছে কাজ হলে আমার বলতে বাধা নেই যে ২০২৫ সালের মধ্যে ভারত টিবিমুক্ত হবে। 


ভারতকে টিবি মুক্ত করতে রাজনৈতিক স্তর থেকেও উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, 'টিবি দূর করার জন্য ভারতের লক্ষ্য স্থির। আমি আশা করছি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর বাকি মন্ত্রীদের নিয়ে টিবি দূরীকরণ প্রকল্পগুলিতে মনযোগ দিতে থাকবেন।'


তিনি আরও বলেন, 'পরিকল্পনা না থাকলে কোনও লক্ষ্যপূরণ সম্ভব নয়। শুধু পরিকল্পনা নয়, তার জন্য বাজেট নির্ধারণ করাও জরুরি। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে টিবি দূর করার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিলেন। তখন সেটা অত্যন্ত কঠিন লাগছিল। কিন্তু যতক্ষণ না পরিকল্পনা করা হচ্ছে, সেটা নিয়ে কথা বলা হচ্ছে, আলোচনা করা হচ্ছে ততক্ষণ কাজ এগোবে না। ওই পরিকল্পনার পরেই নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তার ফল এখন দেখা যাচ্ছে।' এমনটা হলে তা বিশ্বের বাকি দেশগুলির কাছেও একটা নজির হয়ে থাকবে বলে তাঁর মত। 


নয়া প্রকল্প:
সম্প্রতি ভারতে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে- যার নাম  Ni-kshay Mitra (Donor). এর মাধ্যমে যে কেউ একজন টিবি রোগীর দায়িত্ব নিতে পারবেন, ওষুধ, খাবার এবং অন্যান্য খরচের দায়িত্ব নেওয়া যাবে। এখনও পর্যন্ত ১০ লক্ষ টিবি রোগীর দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে।
টিবি রোগীকে মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়ার প্রকল্প রয়েছে ভারতে। বিশ্বের আর কোনও দেশে এই প্রকল্প নেই বলেও জানিয়েছেন Dr Lucica Ditiu


আরও পড়ুন: ফের বাড়ছে কোভিড? রাজ্যগুলিকে সতর্কবার্তা কেন্দ্রের, শীঘ্রই মহড়াও