নয়াদিল্লি: ২০২১ সালের জুলাই মাসের মধ্যে ৩০ কোটি ভ্যাকসিন পাবে ভারত। এই দাবি করেছেন সিরাম ইনস্টিটিউটের কর্তা আদার পুনাওয়ালা। শুধু তাই নয়, তিনি জানিয়েছেনখুব তাড়াতাড়ি ভাল খবর শুনতে চলেছে ভারত। সম্প্রতি ব্রিটেনে ভাইরাসে নতুন স্ট্রেনের হদিশ মিলেছে। তাতে আতঙ্কিত সারা বিশ্ব। এই আবহে আশার কথা শোনালেন সিরাম ইনস্টিটিউটের কর্তা আদার পুনাওয়ালা। তিনি জানিয়েছেন, কয়েকদিনের মধ্যে ব্রিটেন এবং ভারত সরকার অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন দিতে পারে।


অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের যে টিকা অ্যাস্ট্রাজেনেকা বানাচ্ছে, তা ভারতে বানানোর অনুমতি পেয়েছে পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট। সিরামের সিইও আদার পুনাওয়ালা বলেন, আমরা খুব তাড়াতাড়ি ব্রিটেন থেকে সুখবর পাব। ব্রিটেনের নিয়ামক সংস্থা ভ্যাকসিনের আপৎকালীন ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিতে পারে। সম্ভবত এই মাসে বা জানুয়ারির শুরুতেই এই খবর পাব আমরা। ব্রিটেন অনুমোদন দিলেই, ভারতের অনুমোদন পাওয়ায় সহজ হবে।

সিরাম কর্তা জানান, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভারতে ৪ থেকে ৫ কোটি কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন পাঠাবে। অনুমোদন পাওয়ার পর, কীভাবে টিকাকরণ হবে তার সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। কত সময় লাগবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। আশা করা যায়, ২০২১ সালের জুলাই মাসের মধ্যে ৩০ কোটি ভ্যাকসিন পাবে ভারত।

এদিকে আগামী ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে ৬০ কোটি টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, ফাইজার এবং বায়োএনটেক ভ্যাকসিনও অনুমোদন দেওয়া হতে পারে। একইসঙ্গে ভারত বায়োটেকের তৈরি ভ্যাকসিনকেও অনুমোদন দেওয়া হবে। একদিকে ভারতের নিয়ামক সংস্থার অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছে একাধিক ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা। অন্যদিকে গণ টিকাকরণের জন্য তৈরি হচ্ছে দেশ।

শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৯০১ জনের।  মোট আক্রান্ত ১ কোটি ২ লক্ষ ৭ হাজার ৮৭১ জনের।  সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২৭৯ জনের। আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ২১ জন। তবে এরই মধ্যে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ৯৭ লক্ষ ৮২ হাজার ৬৬৯ জন।