মেলবোর্ন : বক্সিং ডে টেস্টে বক্সিং ডে পাঞ্চ। ৮ উইকেটে মেলবোর্নে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট জিতে নিল ভারত। দিনের শুরুতে ২০০ রানে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে দিয়েছিল ভারত। জিততে দরকার ছিল মাত্র ৭০ রান। ২ উইকেট খুইয়েই যে স্কোর তুলে নেয় ভারত। মায়াঙ্ক আগারওয়াল (৫) ও চেতেশ্বর পূজারা (৩) দ্রুত সাজঘরে ফিরে গেলেও শুভমান গিল (অপরাজিত ৩৫) ও আজিঙ্কা রাহানের (অপরাজিত ২৯) অবিচ্ছেদ্য ৫১ রানের পার্টনারশিপে ৮ উইকেটে সাড়ে তিন দিনের মধ্যেই ঐতিহাসিক টেস্ট জিতে নেয় ভারত।



চতুর্থ দিনের শুরুতে শেষ চার উইকেটে আরও ৬৭ রান যোগ করে অস্ট্রেলিয়া। তাদের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ২০০ রানে। অভিষেক টেস্টে খেলতে নামা মহম্মদ সিরাজ তিন (৩/৩৭) উইকেট নিয়েছেন। দুটি করে উইকেট রবিচন্দ্রন অশ্বিন (২/৭১), রবীন্দ্র জাদেজা (২/২৮) ও জসপ্রীত বুমরাহের (২/৫৪)। একটি উইকেট উমেশ যাদবের (১/৫)। প্রথম ইনিংসে অজিদের ১৯৫ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানের (১১২) শতরান ও রবীন্দ্র জাদেজা (৫৭) অর্ধশতরানে ভর করে ৩২৬ রান তুলেছিল ভারত। যার ফলে ১৩১ রানের বড় লিড হাসিল করা সম্ভব হয়েছিল।

টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষে ক্রিজে থাকা প্যাট কামিন্সকে (২২) সাজঘরের পথ ধরিয়ে এদিন সকালে অজিদের প্রথম ধাক্কা দেন বুমরাহ। কিছুটা পরে ক্যামেরুন গ্রিনের (৪৫) উইকেট তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়া শিবিরে মোক্ষম ধাক্কাটা দেন সিরাজ। কিছুক্ষণের মধ্যেই নাথান লায়োনকেও (৩) আউট করে দেন কিছুদিন আগে বাবাকে হারিয়েও ডনের দেশে টেস্ট খেলতে থেকে যাওয়া সিরিজ। কিছুটা লড়াই চালানো জস হ্যাজেলউডকে (১০) ফিরিয়ে মিচেল স্টার্কের (অপরাজিত ১৪) সঙ্গে তাঁর পার্টনারশিপ ভেঙে ২০০ রানের মাথায় অস্ট্রেলিয়াকে অলআউট করে দেন অশ্বিন।



অ্যাডিলেডে চার টেস্টের প্রথম দিন-রাতের টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে লজ্জার হারের সামনে পড়েছিল ভারত। টেস্ট ইতিহাসে এক ইনিংসে সর্বনিম্ন ৩৬ রানে দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয়ে গিয়েছিল ভারত। প্রথম টেস্টের পর অধিনায়ক বিরাট কোহলি দেশে ফিরে আসায় পরের ম্যাচগুলি নিয়ে ছিল শঙ্কা। কিন্তু মেলবোর্নে দ্বিতীয় ম্যাচেই যেভাবে পাল্টা মার দিল ভারত, তা দেখে মুগ্ধ ক্রিকেটপ্রেমীরা। বিশেষ করে অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়ে দু ইনিংসেই যেভাবে বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে খেললেন আজিঙ্কা রাহানে, তাতে তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলে। ম্যাচের সেরাও হয়েছেন তিনি। পাশাপাশি অভিষেক মঞ্চে নজর কাড়লেন শুভমান গিল ও মহম্মদ সিরাজও।