নয়াদিল্লি : ভ্যাকসিন শেষ হয়ে যাওয়ার জেরে শনিবার থেকে দিল্লিতে ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকাকরণ বন্ধ হয়ে গেল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখা চিঠিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন শেষ হয়ে যাওয়ার জেরে ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের ভ্যাকসিনেশন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছি আমরা। পাশাপাশি কেন্দ্রের কাছে ফের বাড়তি টিকার দাবিও রেখেছেন তিনি।


প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে দেওয়া চিটিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, '১৮ ঊর্ধ্বদের জন্য বরাদ্দ ভ্যাকসিন শেষ হয়ে যাওয়ায় এদিন থেকে আমরা সেই সমস্ত ভ্যাকসিনেশন সেন্টার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছি। দিল্লির ৮০ লক্ষ ভ্যাকসিন প্রয়োজন যাতে আগামী ৩ মাসের মধ্যে সবাইকে টিকা দেওয়া যায়। এখনও পর্যন্ত মে মাসে আমরা মাত্র ১৬ লক্ষ ভ্যাকসিন পেয়েছি। আমাদের জানানো হয়েছে জুন মাসে আমরা ৮ লক্ষ ভ্যাকসিন পাব। এই গতিতে যদি ভ্যাকসিন পাই তাহলে সব প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণের কাজ শেষ করতে ৩০ মাস সময় লেগে যাবে।' 


টিকা নিয়ে দিল্লি ও কেন্দ্র সরকারের চাপানউতোর চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। কেন্দ্রের দাবি ছিল, দিল্লি সরকারের নির্দিষ্ট করে জানাতে ব্যর্থ হয়েছিল তাদের কত ভ্যাকসিন প্রয়োজন। যদিও যে দাবির পাল্টা দিয়েছিলেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। তিনি কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি-র বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন, মিথ্যে কথা বলছেন ওরা।


তবে শুধু দিল্লিই নয়, দেশের বাকি সবহ রাজ্যের সঙ্গেই কেন্দ্রের ভ্যাকসিন ঘিরে তরজা চলছে। একাধিক রাজ্য প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন না পাওয়া নিয়ে কাঠগড়ায় তুলেছে কেন্দ্রকে। অনেকে আবার নিশানা করেছে দেশের পরিস্থিতির কথা চিন্তা না করে বাড়তি পরিমাণ ভ্যাকসিন বিদেশে রপ্তানি করা নিয়েও।


গোটা পরিস্থিতির মাঝে একটা বিষয় পরিষ্কার। দেশবাসীকে পোহাতে হচ্ছে চরম ভ্যাকসিন-ভোগান্তি। কোভিডের দ্বিতীয় সুনামিতে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল যে অঞ্চলগুলি, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল রাজধানী দিল্লি। সেখানে এপ্রিলের পর থেকে এই মুহূর্তে সর্বনিম্ন সংক্রমণ। তাই দ্রুত ভ্যাকসিনেশনের প্রক্রিয়া শেষ করতে পারলে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই সহজে করা যেত।