নয়া দিল্লি: কোভিডের পাশাপাশি চিন্তা বাড়াচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। মিউকরমাইকোসিস প্রতিরোধে এবার সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক। অবিলম্বে ফাঙ্গাস রুখতে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ লিখেছেন, কোভিড হাসপাতালগুলিতে 'মিউকরমাইকোসিস' রুখতে বিশষে নজরদারি চালানো হোক। এ প্রসঙ্গে 'হসপিটাল ইনফেকশন কন্ট্রোল কমিটি' গড়ার কথা বলেছেন স্বাস্থ্যসচিব। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে এই কমিটির চেয়ারপার্সন করে বিষয়টি নজরদারির কথা বলেছেন রাজেশ ভূষণ। এ ছাড়াও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে বলা হয়েছে। পরামর্শ মেনে কোনও মাইক্রোবায়োলজিস্ট বা সিনিয়র ইনফেকশন কন্ট্রোল নার্সকেই সেই নোডাল অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে।


এখানেই থেমে থাকলে চলবে না। পরামর্শ চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব জানিয়েছেন, 'ইনফেকশন প্রিভেনশন কন্ট্রোল প্রোগ্রাম' প্রস্তুত করে অবিলম্বে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে হাসপাতালের নজরদারি কমিটিকে। এ বিষয়ে সংক্রমণ প্রতিরোধের ন্যাশনাল গাইডলাইন মানতে হবে সবাইকে। এ ক্ষেত্রে হাসপাতালগুলিতে সংক্রমণ ভিত্তিক রোগ ছড়ানোর ওপর বেশি নজর দিতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিবের পরামর্শ, ড্রপলেট ছাড়াও হাওয়া বা কোনও ব্যক্তির সংস্পর্শের মাধ্যমে যেন এই ভাইরাস হাসপাতালে না ছড়ায় সেদিকে নজর দিতে হবে।


এই সময়ে ভেন্টিলেশনের দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে রাজ্যগুলিকে। হাসপাতালে প্রাকৃতিক ভেন্টিলেশনের দিকেই জোর দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের চিঠিতে। যেখানে যন্ত্রের মাধ্যমে ফিল্টারেশনের ব্যবস্থা নেই সেখানেই এই কথা বলা হয়েছে। বার বার স্পর্শ করা হচ্ছে হাসপাতালের এরকম সারফেসে সংক্রমণ মুক্তির দিকে নজর দিতে বলেছে কেন্দ্র। এইসব জায়গাকে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট অথবা ৭০ শতাংশ অ্যালকহল দিয়ে পরিষ্কার করতে বলা হয়েছে।


জেনারেল কোভিড বেডের পাশাপাশি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট(আইসিইউ)-এ সংক্রমণের দিকে বিশেষ নজরদারির কথা বলেছে কেন্দ্র। যেখানে বলা হয়েছে, রোগীর নিউমোনিয়ার সঙ্গে ভেন্টিলেটরের সম্পর্ক রয়েছে। ক্যাথিটার থেকে ইউরিনারি ইনফেকশন হতে পারে। তাই আইসিইউতে যেন সংক্রমণ রোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।


তবে শুধু হাসপাতাল নয়, ক্লিনিক্যাল ল্যাবেও এই সংক্রমণ রোধী ব্যবস্থা নিতে বলেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বিশেষ করে যে ল্যাবগুলি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত সেদিকে বেশি নজর দিতে বলা হয়েছে। কোভিড-১৯ রোগী যাঁরা স্টেরয়েড ট্রিটমেন্টে রয়েছেন বা ডায়াবেটিক এমন রোগীদের ক্ষেত্রে ল্যাবে সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি। তাই ল্যাবের কর্মীদের বাঁচাতে সংক্রমণ-রোধী পরিবেশ বজায় রাখতে হবে সেখানে।