নয়াদিল্লি: দিল্লির লালকেল্লায় (Red Fort) সেনা ব্যারাকে হামলার ঘটনায় লস্কর ই তৈবার (Laskhar e Taiba) জঙ্গি মহম্মদ আশরাফ আরিফের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই রায় দেয়। 


প্রধান বিচারপতি উদয় উমেশ ললিতের নেতৃত্বে বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এই রায় দেন। তাঁরা আরিফের তরফে দাখিল করা রিভিউ (Review) পিটিশন খারিজ করে মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখেছেন। 


কে এই আরিফ:
আদতে পাকিস্তানের বাসিন্দা আরিফ এই হামলার মাস্টারমাইন্ড (Mastermind)। ২০০৫ সালে দিল্লি ট্রায়াল কোর্টে (Delhi Trail Court) তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর ২০০৭ সালে মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখে দিল্লি হাইকোর্ট (Delhi High Court)। তারপরে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আসে মামলা। সেখানে ২০১১ সালে সেখানেও সেই রায় বহাল রাখা হয়। এরপরে রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয় আরিফের তরফে। ২০১৪ সালে সেটি একবার খারিজ করা হয়। তারপরেও দেশের শীর্ষ আদালত আরিফকে মৃত্যুদণ্ড ঠেকাতে আবেদন করার একটা সুযোগ দেয়। ২০১৪ সালে সাংবিধানিক বেঞ্চের একটি রায়ের উপর নির্ভর করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশে বলা হয়েছিল, দোষী প্রমাণিত হয়েছে এমন বন্দির রিভিউ পিটিশন ওপেন কোর্টে (Open Court) শুনানি করতে হবে। আরিফের ক্ষেত্রে আগেরবারের রিভিউ পিটিশন ওপেন কোর্ট ছাড়াই খারিজ হয়েছিল। 


লালকেল্লা হামলা:
২০০০ সালে লালকেল্লায় সেনা ব্যারাকে হামলার মূল চক্রী হিসেবে দোষী প্রমাণিত হয়েছে আরিফ। ওই বছর ডিসেম্বরের ওই হামলায় তিনজন মারা যান। নিহতদের মধ্যে ২ জন জওয়ান ছিলেন। লাল কেল্লায় ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালনার অভিযোগ ছিল আরিফের বিরুদ্ধে। পরে স্ত্রী রেহমানা ইউসুফ ফারুকির সঙ্গে আরিফকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবা। ওই হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক স্তরেও সাড়া ফেলেছিল। আরও খারাপ হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক।


দিল্লির ট্রায়াল কোর্ট ২০০৫ সালে আরিফ-সহ মোট সাত জনকে খুন, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে। আরিফের মৃত্যুদণ্ড হয়, বাকিদের কারাবাসের ঘোষণা হয়। ২০০৭ সালে আরিফের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকলেও প্রমাণের অভাবে বাকিরা খালাস হয়ে যায়। 


আরও পড়ুন: বাংলার পুজোর রেশের মাঝেই চেন্নাইয়ে রাজ্যপালের বাড়িতে সেন্ডা মেলম বাজালেন মমতা