পানাজি: অক্সিজেন সঙ্কট ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছেছে গোয়ায়। গত চারদিনে গোয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে গত চারদিনে ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার -- এই চারদিন ওই হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে ৭৫ রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। বেশিরভাগ মৃত্যু রাত ২টো থেকে ভোর ৬টার মধ্য়ে হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার মারা গেছেন ১৩জন। বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। বুধবার ২১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আর মঙ্গলবার মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। আজ প্রকাশ্যে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
মঙ্গলবার গোয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু হয়েছিল ২৬ রোগীর। এই নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল দেশ। সূত্রের খবর, এর পরের তিনদিনও সেখানে অক্সিজেনের অভাবে রোগীমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
প্রকাশ্যে এসেছে, বুধবার ২১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। বৃহস্পতিবার মৃতু হয়েছে ১৫ জনের। আর আজ মারা গিয়েছেন ১৩ জন। পরের পর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে মামলা হয়েছে।
কয়েকটি মৃত্যুর ক্ষেত্রে অক্সিজেনের অভাব বা অক্সিজেনের চাপ কম থাকার কথা বম্বে হাইকোর্টের গোয়া বেঞ্চের সামনে স্বীকার করেছে গোয়া সরকার।
এই প্রেক্ষিতে, গোয়ায় অক্সিজেন সরবরাহ অবিলম্বে বাড়াতে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেখানে বলা হয়েছে, গোয়ায় পজিটিভিটি রেট অত্যন্ত বেশি। ফলে, আগে সেখানে অক্সিজেন দ্রুত পাঠানো হোক।
হাইকোর্ট জানিয়েছে, সবচেয়ে দুঃখের বিষয় বেশিরভাগ মৃত্যু রাত ২টো থেকে ভোর ৬টার মধ্য়ে হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে গোয়া প্রশাসনকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ।
চারদিনে ৭৫ জনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই, গোয়া প্রশাসনের ওপর চাপসৃষ্টি করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা ট্যুইট করে লেখেন, ‘এ তো প্রকাশ্য দিবালোকে খুন! ১১ মে-তে গোয়া মেডিক্যালে অক্সিজেনের অভাবে ২৬ জনের মৃত্যু। ১৩ মে-তে অক্সিজেনের অভাবে আরও ১৫ জনের মৃত্যু। এই সরকারের হাতে তার নাগরিকদের রক্ত।’
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করল গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি। চাপের মুখে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়েছে গোয়া প্রশাসন।